রফিকুল ইসলাম : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলো। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের স্থলে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সত্তরের নির্বাচনে পাকিস্তান গণপরিষদের পূর্ব পাকিস্তান অংশের (বাংলাদেশ) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে Constituent Assembly গঠন করে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করেন, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সংসদে সংবিধান গৃহীত হয়।
গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা, গঠনমূলক সমালোচনা, জাতীয় জরুরি পরিস্থিতিতে সরকারি এবং বিরোধী দল একত্রে বসে সহমতের ভিত্তিতে সেই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। গত ৫১ বছরে বাংলাদেশে কখনো তা ঘটেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একবার তিস্তা নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে ভারতে গিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ দলে বিএনপির সাংসদকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করলে বিএনপি সাড়া দেয়নি। গণতান্ত্রিক সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই গড়ে উঠেছে, প্রতিপক্ষের নেতাকর্মী গুম হয়েছে। একই দিনে একই সঙ্গে দেশের সাড়ে পাঁচ শ স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিস্তর অযৌক্তিক বাদানুবাদ হয়েছে, পরস্পর হানাহানিতে বহু রক্ত ঝরেছে। ২১ আগস্ট ২০০৪ আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলায় বহু নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, জাসদের কাজী আরেফ আহমেদ, সাম্যবাদী দলের সিরাজ শিকদার, জেনারেল জিয়াসহ সেনাবাহিনীর অনেক বড় অফিসার।
আজীবন গণতন্ত্রের লড়াকু সৈনিক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সংবিধান সংশোধন করে এক পার্টির শাসন চালু করেন। দ্বিতীয় বিপ্লব নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগÑবাকশাল’। নিজে বাকশালের চেয়ারম্যান, দেশের রাষ্ট্রপতি এবং সরকারপ্রধান হন। পরিণামে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ স্ত্রী-পুত্র, পরিজনসহ শেখ মুজিব নিহত হন। বিদেশে অবস্থানের কারণে শেখ মুজিবের দুই মেয়ে আজকের জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।
আগস্ট ১৯৭৫-এর ঘটনার পরে ১৯৯০ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পনেরো বছর পরপর দুজন জেনারেল ক্ষমতায় ছিলেন। স্বল্প দিনের জন্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি হন। দুজন বিচারপতি এএসএম সায়েম ও বিচারপতি আহসানউল্লাহ চৌধুরীকে পুতুল রাষ্ট্রপতি বানানো হয়। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ দুজনই প্রথমে সিএমএলএ এবং পরে রাষ্ট্রপতি হন। তারপর হ্যাঁ-না রেফারেন্ডামের মাধ্যমে এবং শেষে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশ শাসন করেন। দুজনই রাজনৈতিক দল গঠন করেনÑযথাক্রমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টি নামে। দুজনই সংসদ নির্বাচন করে দুই-তৃতীয়াংশের অধিক আসনে বিজয়ী হয়ে সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেন। এই ঘটনাকে বিএনপি সমর্থকেরা বলে থাকেন জিয়া সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তক। তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন, ধর্মনিরপেক্ষতা বিয়োজন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজন করেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা সত্ত্বেও জেনারেল জিয়া প্রধানমন্ত্রী হননি, শেষ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবেই দেশ শাসন করেছেন। জেনারেল এরশাদও প্রধানমন্ত্রী হননি, রাষ্ট্রপতি হিসেবেই দেশ শাসন করেছেন ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত।
নির্বাচন : বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে অদ্যাবধি কখনো নিরপেক্ষ, নির্বিবাদ নির্বাচন হয়নি বলা যায়। ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবের শাসনামলে প্রথম জাতীয় নির্বাচন (সংসদ নির্বাচন) হয়। সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশ ১০০ শতাংশ নির্বিবাদ হয়নি। কোনো কোনো প্রার্থীকে জোর করে বিজয়ী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের শাসনামলে ‘হ্যাঁ-না’র রেফারেন্ডাম, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনÑএমন বেশ কিছু নির্বাচন হয়েছিল। এসব নির্বাচন কতটুকু নির্বিবাদ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়েছিল, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে ১৯৮৮ সালের শেষ নির্বাচনের আগে নভেম্বর ১৯৮৭ থেকে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ সব দল (জাপা ব্যতীত) একযোগে এরশাদ সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মোড়ে ডা. মিলন, পল্টনের মোড়ে নূর হোসেন (সারা শরীরে গণতন্ত্র মুক্তি পাক অঙ্কিত) পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এতে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। ফলে ৪ ডিসেম্বর ১৯৯০ জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করেন।
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ নতুন সংসদ নির্বাচন হয়। বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। খালেদা জিয়ার সরকার ছিল বেসামরিক গণতান্ত্রিক সরকার কিন্তু পূর্ববর্তী জেনারেল সাহেবদের শাসনের রেশ বজায় ছিল। অনেক সামরিক অফিসারকে সিভিল এবং পুলিশ প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও বেশ কটি মেডিকেল কলেজের পরিচালক পদে ব্রিগেডিয়ার সাহেবরা নিয়োজিত আছেন, কিন্তু দুই সরকারের প্রকৃতি এক নয়।
বেগম খালেদা জিয়া বেসামরিক গণতান্ত্রিক সরকারপ্রধান হয়েও তার দুবারের প্রধানমন্ত্রিত্বকালীন ১০ বছর এবং আগে-পরের ১৯ বছরসহ মোট ২৯ বছরÑজুন ১৯৮১ থেকে নভেম্বর ২০১০ পর্যন্তÑক্যান্টনমেন্টের বাসায় বসবাস করেছেন। বাসাটি প্রথমে ছিল সেনাবাহিনীর সহ-অধিনায়ক জেনারেল জিয়ার, তারপর সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিএমএলএ, শেষে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমানের। হাইকোর্টের আদেশে বাসা থেকে উচ্ছেদ হওয়ার আগ পর্যন্ত বেগম জিয়া একই বাসায় ছিলেন। নিহত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে ক্ষমতাসীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ বাড়িটি দান করেছিলেন সমব্যথী এবং ক্ষতিপূরণের নিদর্শন হিসেবে। লোকে বলে, জেনারেল এরশাদই ছিলেন জিয়া হত্যার মূল কারিগর। অথচ বলির পাঁঠা হলেন সেই সময়ে চট্টগ্রামের সেনাছাউনি-প্রধান জেনারেল মনজুর।
১৯৯১ সালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের অসন্তোষ ছিল। এরপর কিছু উপজেলা নির্বাচন এবং সর্বশেষ মাগুরা উপনির্বাচনের অভিজ্ঞতায় আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্য ছোট দলসমূহ একযোগে দাবি করল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তারা ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬-এর সংসদ নির্বাচন বর্জন করল। জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত নির্বাচনে বিজয়ী বেগম জিয়া সরকার সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিষয়ক সংশোধনী আনল। সর্বসম্মতিতে বিচারপতি হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগপূর্বক ক্ষমতা হস্তান্তর করেন খালেদা জিয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক দল হিসেবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে জাপার হাত ধরে সরকার গঠন করে। কার্যকাল শেষে ২০০১ সালে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। লতিফুর রহমান সাহেব এমন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যেন আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা ওনার প্রতিপক্ষ। যেমন ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই ১৩ জন সচিবকে বদলি করেন অব্যবহিত পূর্বের বিরোধী দল বিএনপি দাবি করার আগেই, যেন ভেঙে দিলেন শেখ হাসিনাদের সাজিয়ে রাখা চক্রান্তের ব্যুহ এবং এ রকম বহুবিধ কাজ। পরিণতিতে শেখ হাসিনা/ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যায়। অসন্তোষ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেয়। পাঁচ বছর শেষে ২০০৬ সালে বিএনপি/ খালেদা জিয়া নিজেদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগ করে এবং আরো কিছু কার্যকলাপের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগ/ শেখ হাসিনা নির্বাচন বর্জন করেন। অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়, প্রতিক্রিয়ায় নেমে আসে দুই বছর মেয়াদি ১/১১-এর সামরিক বাহিনী সমর্থিত ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
পরিশেষে ডিসেম্বর ২০০৮ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি জোট করে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয়লাভ করে। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন লাভের সুযোগে সংবিধানে সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক প্রথা বাতিল করে দেয়। মাত্র ৩০ আসন পেলেও বিএনপি সংসদে যোগ দেয়। কার্যকাল শেষে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চলতি সংসদের সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা বিএনপিকে আহ্বান করেন সরকারে যোগ দিতে। বিএনপি সাড়া না দিয়ে নির্বাচন বর্জন করে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে। বিএনপির বাধা সত্ত্বেও ২০১৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, প্রতিপক্ষ না থাকায় আওয়ামী জোট এক প্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় (১৫৩ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না) বিজয়ী হয়।
ভোট বর্জনের কারণে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে শূন্যতার সৃষ্টি হয়, সংসদে বিরোধী দল না থাকায় একই জোট টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকায় প্রশাসনে, প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে, ঘুষ-দুর্নীতি মাত্রা ছাড়িয়েছে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি একটি অকার্যকর দলে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন দলীয়করণ এবং বিএনপির দল হিসেবে অকার্যকারিতার চূড়ান্ত উদাহরণ ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফল।
রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র : শেখ মুজিব ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা। তার জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সর্বেসর্বা। তার কথাই শেষ কথা। শেখ মুজিবের পরে ক্ষমতাসীন দুই জেনারেলের দল এবং শাসন সামরিক বাহিনীর কমান্ডের মতো, গণতন্ত্র সেখানে একটি আবরণ (কোটিং) মাত্র। শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া তাদের নিজ নিজ দলে সর্বময় ক্ষমতায় আরোহিত। নেতাকর্মীদের মধ্যে পদের জন্য প্রতিযোগিতা তাদেরকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। পদে থাকলে চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। দল দুটি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর জেলা তথা কেন্দ্রীয় কমিটিগুলো নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থাকলে নির্বাচন না করে নেত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিটি মনোনয়নের। এভাবে সভানেত্রী দ্বারা মনোনীত হয় ৬৪ জেলা কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি, সহযোগী সংগঠনসমূহের সব কমিটি। ফলে নেত্রীদ্বয় তাদের নিজ দলে প্রায় ঈশ্বরের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছেন; দোষ নেত্রীদ্বয়ের নয়, দোষ দুই দলের নেতাকর্মীদের।
চাটুকারিতা : চাটুকারিতা তোষণ আমাদের মজ্জাগত, নেত্রীর নৈকট্য লাভের জন্য এবং তোষণ করে নেতাকর্মীরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে/ আদেশে …। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী/ নেতা, সাংসদ বা মন্ত্রী যা কিছু করবেন, আবশ্যিকভাবে এর অনুমতি কিংবা দায় শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়, যেহেতু উনি একই সঙ্গে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। বারবার উল্লেখ করে মুখে ফেনা তোলার দরকার নেই। বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও বিএনপির নেতাকর্মীরা একই আচরণ করেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, এ যেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয়, শেখ হাসিনা বা বেগম জিয়ার দল।
লেখক : প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, রাকসু (১৯৭৪-৭৫)