বাইডেন প্রশাসন বিদেশি নাগরিকদের ওয়ার্ক ভিসা প্রদান এবং তাদের অধিকার পরিবর্তন করার একাধিক প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (DHS) গত ২৩ অক্টোবর সোমবার ফেডারেল রেজিস্টারে ‘এইচ-১বি প্রোগ্রামের দক্ষতা আধুনিকীকরণ ও উন্নয়ন, সুবিধা ও নমনীয়তা সংযোজন এবং অখণ্ডতার ব্যবস্থা উন্নত করার’ পরিবর্তনগুলো প্রকাশ করে।
কিন্তু প্রস্তাবগুলো অনেক অ্যাডভোকেট ও গবেষকের জন্য হিট-এন্ড-মিস।
ক্যাটো ইনস্টিটিউটের ইমিগ্রেশন স্টাডিজের সহযোগী পরিচালক ডেভিড বিয়ার বলেন, প্রবিধানটি এইচ-১বি প্রোগ্রামকে এখনকার তুলনায় একটু ভালোভাবে কাজ করার জন্য বিনয়ী প্রচেষ্টা।’
প্রস্তাবটি তুলনামূলকভাবে এইচ-১বি ভিসার নির্দিষ্ট কিছু দিককে উদারীকরণ করে। অন্যদিকে আইনগুলো কঠোর করার মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে বলে আইনজীবীরা উদ্বিগ্ন।
এইচ-১বি বিশেষ কয়েকটি পেশার জন্য দেয়া হয়: উদাহরণস্বরূপ ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং সাংবাদিক। যারা বিদেশি নাগরিক কিন্তু তাদের চাকরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কেবল তারাই এই ভিসা পান।
ভিসাটি প্রায়শই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের দেওয়া হয়। অনেকের জন্য এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বা গ্রাজুয়েট স্কুল এবং স্থায়ী বসবাস বা স্বাভাবিককরণের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে।
তবে অন্য অনেকের জন্য এইচ-১বি একটি ফাঁদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
নীতিগতভাবে এইচ-১বি তিন বছরের জন্য মঞ্জুর করা হয় এবং যা আরও তিন বছরের জন্য নবায়ণযোগ্য। দুই মেয়াদের পর এরপর সুবিধাভোগীরা একটি গ্রিন কার্ড পান বা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো অন্য স্ট্যাটাসে যেতে পারেন।
তবে প্রতিটি দেশের ক্যাপ সাপেক্ষে গ্রিন কার্ড দেয়া হয়। কোনো একটি দেশ বার্ষিক বরাদ্দের ৭ শতাংশের বেশি গ্রিন কার্ড পেতে পারে না। তবে এটি এইচ-১বি -এর ব্যাপক ব্যবহারকারী ভারতের মতো দেশগুলোর নাগরিকদের বেলায় ভিন্ন। এসব দেশের নাগরিকরা কয়েক দশক-ধরে জটলায় আটকে আছে। দুইটি তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বার্ষিক ভিত্তিতে তাদের এইচ-১বি নবায়ন করা হয়।
অভিবাসন আইনজীবী সাইরাস মেহতা লিখেছেন, নতুন প্রবিধানগুলো কলেজ এবং গ্রাজুয়েট স্কুল ডিগ্রির সাথে পেশা মেলাতে নিয়ম কঠোর করায় ‘এইচ-১বি প্রোগ্রামকে আরও সীমাবদ্ধ করে তুলবে এবং ভালো বৈশিষ্ট্যগুলোকে উপেক্ষা করবে’। বিশেষ পেশার সংজ্ঞা সংশোধন করার জন্য প্রস্তাবিত প্রবিধানটি অত্যন্ত উদ্বেগের।
নতুন প্রস্তাবটি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবের অনুরূপ ভাষা গ্রহণ করবে। অর্থাৎ একজন আবেদনকারীর চাকরি তাদের পড়াশোনা এবং যেকোনো কাজের প্রয়োজনের সাথে ‘সরাসরি সম্পর্কিত’ হওয়া দরকার। কারণ মানুষ প্রায়ই একটি বিষয়ে অধ্যয়ন করে এবং ভিন্ন একটি ক্ষেত্রে কাজ করে।
এই ব্যবস্থাটি অপ্রয়োজনীয় লাল ফিতা তৈরি করতে পারে বলে অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন।
তবে নতুন প্রস্তাবের পাশাপাশি, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এইচ-১বি আবেদনকারীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই তাদের ভিসা স্ট্যাম্প গ্রহণ করার অনুমতি দেয়ার জন্য একটি ভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। বর্তমানে বিদেশে মার্কিন কনস্যুলেটে স্ট্যাম্প পেতে আবেদনকারীদের অবশ্যই দেশ ত্যাগ করতে হয়।


ঠিকানা রিপোর্ট


