Thikana News
১৯ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪


 

নির্বাচনকালীন সরকার : শেখ হাসিনার নতুন চমক!

নির্বাচনকালীন সরকার : শেখ হাসিনার নতুন চমক!


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে  নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারে ক্ষমতাসীন দল ও জোটের একাধিক শরিক দলের প্রতিনিধি স্থান পাবেন। এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব থাকবে এই সরকারে। বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারে শরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হতে পারে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকালীন সরকারের মেয়াদ থাকবে দুই মাস। বর্তমান সংসদ যথারীতি বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান পদে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। এই সরকার কেবল রুটিনমাফিক দায়িত্ব সম্পাদন করবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ, নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে তাদের চাহিদামাফিক সর্বাত্মক সহযোগিতা করাই হবে তাদের প্রধান দায়িত্ব।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনেও প্রধানমন্ত্রী কিছু চমক দেখাবেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন অথবা ফজলে হোসেন বাদশা মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। সাম্যবাদী দলের প্রধান দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। শারীরিক কারণে প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমদ ও জেপির প্রধান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এই সরকারে থাকবেন না।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ছোট ভাই জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট জি এম কাদের, এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাদেরকে নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে মতভিন্নতা রয়েছে। তাকে সরকারে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলেই তারা মনে করেন। নির্বাচনকে ছোটখাটো কারণেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন তিনি। নির্বাচনকালীন সরকার থেকে পদত্যাগ করে সরকারের জন্য একটা অনাকাক্সিক্ষত, চরম বিব্রতকর, ক্ষতিকর পরিস্থিতিও সৃষ্টি করতে পারেন কাদের। জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অথবা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হতে পারে।
রাজনৈতিক কারণে বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারে শরিক হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানানো হতে পারে। এই সরকারে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দুজনকে সরকারে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। বিএনপি সরকারের এ পরিকল্পনাকে রাজনৈতিক স্ট্যান্ট বলেই মনে করে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথাও তারা ভাবছে না। শেষ পর্যায়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অতিনাটকীয় সিদ্ধান্তও যদি নেয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেবে না বলেই বিএনপির নেতৃস্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল যেমনটি সংলাপের কথা বলেছে, ঠিক সে রকমভাবে একটি সংলাপের জন্য আহ্বান জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী। এই সংলাপের জন্য তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিতে চান। আর এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীর কথাও তিনি বলতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে। নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে বেশ কিছু নাম নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেনসহ বেশ কিছু প্রথিতযশা ব্যক্তির নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে উপদেষ্টা হিসেবে রাখতে চান। যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেবেন এবং সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য কাজ করবেন।

কমেন্ট বক্স