Thikana News
০১ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫





 

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানে জয় অস্ট্রেলিয়ার

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানে জয় অস্ট্রেলিয়ার ছবি সংগৃহীত





 
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা সুখকর ছিল না। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা শুরুর দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে পড়ে গিয়েছিল শুরুতেই সেমিফাইনালের সমীকরণ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায়। কিন্তু তারা প্রত্যাবর্তনটা করছে চ্যাম্পিয়নদের মতোই।

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ের পর এবার অজিদের শিকার নেদারল্যান্ডস। ১২ বছর পর বিশ্বকাপে আসা ডাচদের বড় লজ্জাই উপহার দিয়েছে ম্যাক্সওয়েল-জাম্পারা। ৩০৯ রানে হেরে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের লজ্জাই পেতে হয়েছে তাদের।

২৫ অক্টোবর বুধবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪০০ রান তাড়া করতে নেমে ২১ ওভারে মাত্র ৯০ রান করে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।

আরেকবার ব্যাটিং করতে দিলেও এ রান নেদারল্যান্ডস করতে পারত কি না, সন্দেহ আছে! ৩০৯ রানের হারে রেকর্ডবইয়ে ওলটপালটও হয়ে গেল। আফগানিস্তান এতে একটু স্বস্তি পাবে আর কি! বিশ্বকাপে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হারটা এত দিন ছিল আফগানিস্তানের, ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই আফগানরা হেরেছিল ২৭৫ রানে। সেই অস্ট্রেলিয়াই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ডটা তুলে দিল নেদারল্যান্ডসের মাথায়।

শুধু বিশ্বকাপ কেন, ওয়ানডে ইতিহাসেই রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ডটা অল্পের জন্য নেদারল্যান্ডসের হয়নি। সে তালিকায় তারা দ্বিতীয়। সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ডটা শ্রীলঙ্কার, গত জানুয়ারিতেই ভারতের কাছে তারা হেরেছে ৩১৭ রানে। ৩০০-র চেয়ে বেশি রানে হার ওয়ানডেতে ছিল আর একটি, সেটিও ২০২৩ সালের, জিম্বাবুয়ে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়েছিল ৩০৪ রানে।

ডেভিড ওয়ার্নারের ১০৪, স্টিভ স্মিথের ৭১ আর মারনাস লাবুশেনের ৬২ রান ছাপিয়েও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৪৪ বলে ১০৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া যখন ৩৯৯ রানে ইনিংস শেষ করল, ম্যাচের ফল তো তখনই লেখা হয়ে গেছে। নেদারল্যান্ডস কতটা লড়াই করতে পারে সেটিই ছিল দেখার।

ডাচদের একেবারে হেলায় উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছিল না। গত জুনেই তো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৭৪ রানের জবাবে তারাও ৩৭৪ করে ম্যাচ নিয়ে গিয়েছিল সুপার ওভারে, সেখানে সুপার ওভারে জিতেই যায় ডাচরা।

কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না স্কট এডওয়ার্ডসরা। ওপেনিং জুটিতে ২৮ রানের পর নেদারল্যান্ডস ইনিংসে ২০-এর ওপরে জুটিই হয়েছে আর একটি, ষষ্ঠ উইকেটে নিদামানুরু ও এডওয়ার্ডের ২২ রান। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাঁচজন দুই অঙ্কে গেছেন বটে, তবে ২৫ রান করে রান আউট হওয়া ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংয়ের বাইরে ২০-এর ঘরে যেতে পারেননি আর কেউই। এমন ইনিংসে আর ব্যাটিং নিয়ে বলার কী থাকে!

বোলিং নিয়ে যা বলার তা হলো অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ বোলার বোলিং করেছেন, সবাই উইকেট পেয়েছেন। তিন পেসার স্টার্ক, হ্যাজলউড ও কামিন্স নিয়েছেন ডাচদের প্রথম চার উইকেটের তিনটি (অন্যটি রান আউট)। শেষের ছয়জনের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন দুই স্পিনার মিচেল মার্শ ও অ্যাডাম জাম্পা। মার্শ নিয়েছেন ২ উইকেট, জাম্পা তো ৪ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষেই উঠে গেছেন (১৩ উইকেট)! ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

পয়েন্ট টেবিলে অস্ট্রেলিয়ার আর উত্থান হয়নি, উত্থানের সুযোগই যে ছিল না। তবে অস্ট্রেলিয়া ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বর জায়গাটাতে জাঁকিয়ে বসেছে। ঋণাত্মক থেকে এক ধাক্কায় তাদের রানরেট হয়ে গেছে (+) ১.১৪২।

নেদারল্যান্ডসের এই হারে লাভই হলো বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিনের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে পড়ে থাকতে হলো না সাকিব আল হাসানদের। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে অজিরা। ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ডাচরা। তারা নিচে নামায় সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে ৯ নম্বরে উঠে এল বাংলাদেশ।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স