Thikana News
০১ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫





 

রান-বন্যার ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

রান-বন্যার ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া ছবি সংগৃহীত





 
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার পথচলা পুরো উল্টো। দুই ম্যাচ জিতে ফুরফুরে অবস্থায় টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার জোড়া হারে শুরু হয়েছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানকেও সহজে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ২০ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে রান-বন্যার ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

৩৬৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪০ রান করে পাকিস্তানিরা। এরপর কিছুটা রয়েসয়ে খেলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাবর আজমের দলের স্কোর দাঁড়ায় ৫৯। এরপর চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে উইকেট যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল পাকিস্তানের। ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে প্যাট কামিন্সকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারেন শফিক। সীমানার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা শন অ্যাবট বল ধরলেও তা হাত ফসকে হয়ে যায় ছক্কা। এটাই পাকিস্তানের ইনিংসের প্রথম ছক্কা। শফিক আউট হলে ৬৬ রানেই ভেঙে যেতে পারত পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। পাকিস্তানি ওপেনারের স্কোর তখন ২৭ রান।

অ্যাবটের ক্যাচ মিস হতে না হতেই আরেকটি ক্যাচ মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে পুল করতে যান ইমাম। মিড উইকেটে ক্যাচ মিস করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ক্যাচ মিসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেই ওভারেই ফিফটি করেন ইমাম। ওভারের পঞ্চম বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে ২০তম ফিফটি তুলে নেন ইমাম।

ফিফটির পর দুই ওপেনার ইমাম ও শফিক দুজনই হাত খুলে খেলতে থাকেন। ২০তম ওভার থেকে পাকিস্তান নিয়েছে ১৩ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এই ওভারে শফিক দুটি ও ইমাম একটি চার মেরেছেন। নিয়মিত বোলারদের দিয়ে যখন উইকেট তোলা যাচ্ছে না, তখন কামিন্স বোলিংয়ে নিয়ে এলেন মার্কাস স্টয়নিসকে। স্টয়নিস এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন। ২২তম ওভারের প্রথম বলে স্টয়নিসকে তুলে মারতে যান শফিক। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ ধরেছেন ম্যাক্সওয়েল। ৬১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ রান করেন শফিক। উদ্বোধনী জুটিতে শফিক-ইমাম ১২৭ বলে ১৩৪ রান যোগ করেন।

শফিকের পর দ্রুত ইমামের উইকেটও তুলে নিয়েছেন স্টয়নিস। ২৪তম ওভারের চতুর্থ বলে স্টয়নিসকে কাট করতে যান ইমাম। টপ এজ হওয়া বল থার্ড ম্যান বাউন্ডারিতে লুফে নেন মিচেল স্টার্ক। ১০ চারে পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার করেছেন ৭১ বলে ৭০ রান। তাতে পাকিস্তানের স্কোর হয় ২৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৪ রান। ৩ নম্বরে নামা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম দারুণ ব্যাটিংয়ের আভাস দিয়েছিলেন। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জাম্পাকে পুল করতে যান বাবর। শর্ট মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন কামিন্স। ১৪ বলে ১৮ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

শফিক, ইমাম, বাবরের বিদায়ে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ২৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৫। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তানের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। চতুর্থ উইকেটে ৪৮ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান ও শাকিল। এই জুটি ভাঙতে স্টয়নিস অবদান রেখেছেন ফিল্ডার হিসেবে। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কামিন্সকে পুল করতে যান শাকিল। টপ এজ হওয়া বল কাভার থেকে উল্টো দিকে দৌড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন স্টয়নিস। ৩১ বলে ৫ চারে ৩০ রান করেন শাকিল। তাতে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৩৪.২ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩২।

শাকিলের আউটের পর ঝোড়ো সূচনার আভাস দিলেও দ্রুতই বিদায় নেন ইফতিখার। শাকিল ও ইফতিখার ফিরে গেলেও পাকিস্তানকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন রিজওয়ান। ২৭৪ রানের সময় জাম্পার বলে রিজওয়ান লেগ বিফোর হলে অজিদের চিন্তার রেখা মুছে যায়। টেলএন্ডারদের উইকেট নিতে আর বেগ পেতে হয়নি অজি বোলারদের। অ্যাডাম জাম্পা ৪টি, স্টয়নিস ২টি উইকেট নিলে অজিরা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। পাকিস্তানের ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতের সুযোগ নিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ১০ রানে জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার করেন ১৬৩ রান। ১২৪ বলের ইনিংসে ১৪ চার ও ৯ ছক্কা মেরেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার, যা অজিদের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর।  পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১০ ওভার বোলিং করে ৫৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি পেসার। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স