নিউইয়র্ক সিটি জবে বিভিন্ন ধরনের চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ফেডারেল জব, স্টেট জব এবং সিটি জব- এই তিন ধরনের সরকারের অধীনে সরকারি চাকরি রয়েছে। অনেকেই সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। এ জন্য সিটি জবে যোগ পর্যাপ্ত তথ্য ও পদ্ধতি অনেকেই না জানার কারণে সেখানে যোগ দিতে পারছেন না। আবেদনও করতে পারছেন না। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেডারেল জব পাওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদনকারীকে সিটিজেন হতে হবে। স্টেট ও সিটি জব পাওয়ার জন্য কিছু কিছু চাকরিতে সিটিজেন হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেমন পুলিশ বিভাগের চাকরি। ট্রাফিক পুলিশ কিংবা স্কুল সেফটি এজেন্সির জন্য সিটিজেন হতে হয় না, তবে এনওয়াইপিডির পুলিশ অফিসার হওয়ার জন্য সিটিজেন হতে হয়। স্টেটের কিছু কিছু চাকরির জন্য সিটিজেন হতে হয়। সিটির কিছু কিছু চাকরি রয়েছে, সেগুলোর জন্য গ্রিনকার্ড হোল্ডার হলেও চলবে। আর কিছু কিছু চাকরি আছে, যেগুলোতে গ্রিনকার্ড না থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে আবেদন করা যায়। কোন চাকরির জন্য কী কী যোগ্যতা লাগবে, তা আগে জানতে হবে। এ জন্য চাকরির নোটিশটি ভালো করে যোগ্য হলে আবেদন করতে হবে। এসব চাকরি যোগ্যতা ছাড়া পাওয়ার সুযোগ নেই।
নিউইয়র্ক বিশ্বের রাজধানীখ্যাত সিটি। এখানে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এখানকার সিটি জবেও দেখা যাচ্ছে অন্যান্য জায়গার চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি, বেতনও ভালো। নিউইয়র্ক সিটি জব পেতে হলে আবেদনকারীকে ডিকাসের মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইল তৈরির পর সেখানে তিনি যে যে চাকরিতে আবেদন করতে চান, সেটি পছন্দ করে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময় পরীক্ষার ফি দিতে হবে। কোন পরীক্ষার জন্য ফি কত, সেটি পরীক্ষার নোটিশে উল্লেখ থাকে। সে অনুযায়ী ফি দিতে হবে। তবে যাদের মেডিকেইড রয়েছে, তারা চাইলে এই ফি মওকুফ পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাদের মেডিকেইড অফিস থেকে একটি চিঠি নিতে হবে।
এদিকে সিটির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের কম্পিউটার কিংবা বাইরে থেকে যেমন আবেদন করা যায়, পাশাপাশি কেউ চাইলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়েও আবেদন করতে পারেন। তারপর পরীক্ষা দিতে পারবেন। পরীক্ষায় পাসের জন্য সর্বনিম্ন ৭০ নম্বর পেতে হবে। যে যত বেশি নম্বর পাবেন, তার স্কোর অনুযায়ী প্রার্থীদের যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা করা হবে। ওই তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউয়ে পাস করলে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রার্থীকে ব্যাকগ্রাউন্ড চেকে পাস করার পাশাপাশি ড্রাগ টেস্টে পাস করতে হবে, সেই সঙ্গে থাকবে মেডিকেল টেস্ট। সবকিছুতে উপযুক্ত হওয়ার পর নিয়োগ করা হবে। নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি যেমন বেতন পাবেন, সেই সঙ্গে রয়েছে পেনশন সুবিধা। পাশাপাশি হেলথ, ভিশন এবং ডেল্টাল সুবিধাও পাবেন। কেউ সেখানে চাকরি করলে তিনি তার স্পাউস ও সন্তানদের জন্য হেলথ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পাবেন। এই সুবিধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ২৬ বছর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। যদি ওই সন্তান আলাদা কাজ করেন এবং তার আয় থাকে, তাও তিনি ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া চাকরিজীবীর সিক লিভ, ফ্যামিলি লিভ, মেডিকেল লিভও রয়েছে। সিটি জবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকায় অনেকেই সেদিকে ঝুঁকেছেন। এই চাকরি পাওয়া যেমন কষ্টকর, তেমনি এটি একবার পেলে চাকরি যাওয়াও কঠিন। কারণ এটি ইউনিয়ন জব। কেউ অন্যায় কিংবা অপরাধ না করলে সাধারণত চাকরি যায় না।