Thikana News
২৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মিথ্যা তথ্য দিয়ে হোম কেয়ার নিলে  জরিমানাসহ অর্থ ফেরত দিতে হবে

মিথ্যা তথ্য দিয়ে হোম কেয়ার নিলে  জরিমানাসহ অর্থ ফেরত দিতে হবে



 
নিউইয়র্কে বয়স্ক ও অক্ষম ব্যক্তিরা নিজের কাজ নিজে করতে পারেন না। এসব মানুষের জন্য হোম কেয়ার সেবা প্রচলিত রয়েছে। এই সেবা অনেকেই নিচ্ছেন। সেবার পরিসর বৃদ্ধি ও সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ার কারণে দিনে দিনে কমিউনিটিতে হোম কেয়ারের সংখ্যাও বাড়ছে। হোম কেয়ারে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছতা থাকে, সে ব্যাপারে হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো বেশির ভাগই কড়াকড়ি করছে। সেই সঙ্গে এটাও করা হচ্ছে, যারা সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতা হিসেবে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দেন, তাহলে তারা সমস্যায় পড়তে পারেন। কিছু অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থাও নিতে পারে। কমিউনিটিতে অতিপরিচিত ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ার এলএলসির  চেয়ারম্যান ও সিইও গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা যথাযথ নিয়ম মেনেই মানুষকে হোম কেয়ারের সেবা দিচ্ছি। সেবাগ্রহীতা যদি কোনো হোম কেয়ার নির্বাচন করার সময় বাসায় থাকেন, একই সঙ্গে একই ঠিকানা ব্যবহার করেন এবং কোন কোন সময়ে সেবা নেবেন, তা উল্লেখ করেন, তাহলে তাদেরকে একই ঠিকানায় থাকতে হবে। যখন ওই ব্যক্তি সেবা নিচ্ছেন বলে কাগজে স্বাক্ষর করছেন, তখন তা ঠিক থাকতে হবে। এমন যদি হয়, সেবাগ্রহীতা যে সময়ে সেবা নিচ্ছেন, ওই সময়ে তিনি ওই বাসায় ছিলেন না, তখন এ নিয়ে তদন্তে যদি ধরা পড়ে যে সেবাগ্রহীতা যখন সেবা নিচ্ছেন বলে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন অর্থাৎ নথিপত্রে ও টাইমশিটে সাইন করছেন কিন্তু ওই সময়ে তিনি বাসায় ছিলেন না, এর অর্থ তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আয় করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়বেন। যারা এমনটি করে এখনো ধরা পড়েননি, তাদের যেকোনো সময় ধরা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, হোম কেয়ার সেবা নিয়ে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনায় অভিযোগের পর কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়ে গেছে। তারা চায় যাদের প্রয়োজন কেবল তারাই যথাযথ নিয়ম মেনে সেবা পাক। যারা কোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেবা নিচ্ছেন, সেটির তদন্ত করে তা বন্ধ করতে হবে। উল্টো অর্থ আদায় করা হবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা কমিউনিটির সবাইকে বলব, যারা হোম কেয়ার সেবা নেবেন বা নিচ্ছেন, তারা যাতে যথাযথ নিয়ম ও আইন মেনে সেবা নেন। সর্বোচ্চ ২১ ডলার ঘণ্টাপ্রতি পেমেন্ট দেওয়ার সুযোগ আছে। কেউ বেশি দিলে বুঝতে হবে সেখানে সমস্যা থাকতে পারে। আমরা বলব, কেউ বেশি অর্থ পাওয়ার লোভে পড়বেন না। কারণ লোভে পড়ে কোথাও গিয়ে বেশি অর্থ নেওয়ার সুবিধা পেলে সেটি ভালো হবে না। কেউ যদি কোনো অসাধু উপায়ে বেশি অর্থ নেন অথবা সেবা নিতে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দেন, তারা ধরা পড়লে যত অর্থ নিয়েছেন তা তো ফেরত দিতে হবেই, সেই সঙ্গে জরিমানাও গুনতে হবে। মেডিকেইডও বাতিল হবে। কারণ এই অর্থ সরকারি।
এ রকম অর্থ ফেরত দেওয়ার ঘটনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এজেন্সিতে কখনো এমনটা হয়নি। আমরা সব সময় প্রকৃত তথ্য যাতে সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতা দেন, সেটাই নিশ্চিত করি। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে যারা বেশি অর্থ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দিচ্ছে, এ ধরনের ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। আমরা বলব, সত্যিকারের যাদের সেবার প্রয়োজন, কেবল তারাই সেবা নেবেন এবং যারা যে সময়ে সেবা দিচ্ছেন বলে টাইমশিটে সাইন করছেন, ওই সময়ে সেবা দিয়েছেন, সেটাই যাতে সত্য হয়। দিন যত যাচ্ছে এই খাতে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে যারা হোম কেয়ারের সেবা নিচ্ছেন, তারা নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের মেডিকেইড রয়েছে। মেডিকেইড ছাড়া কেউ হোম কেয়ারের সেবা পাবেন না। ইন্স্যুরেন্স যা-ই থাক না কেন, তিনি হোম কেয়ার পেতে চাইলে তাকে অবশ্যই সত্য তথ্য দিতে হবে। যারা যোগ্য নন, তারা যদি কোনো উপায়ে তা নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে এটা কমিউনিটির জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হবে। কারণ তখন সত্যিকারের সেবা যাদের প্রয়োজন, তাদেরও কষ্ট পেতে হবে।

কমেন্ট বক্স