সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাই পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালোবাসা আর সম্মান। এগুলো ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ধরে রাখতে হলে কিছু কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে দুইজনকেই। অভ্যাসগুলো যদি মেনে চলা যায়, তা হলে সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী হবে সম্পর্ক এবং এক সঙ্গে বৃদ্ধ হওয়ার স্বপ্নপূরণ হলেও হতে পারে।
সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন : কথা বলা জরুরি। মনের মধ্যে কোনও সংশয়, দ্বিধা, ভাবনা, উদ্বেগ চললে তা চেপে রাখবেন না। বরং সঙ্গীকে খোলাখুলি বলে দিন। নিজের মধ্যে চেপে রাখলে শুধু কষ্ট নয়, সম্পর্কে জটিলতাও বাড়বে। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্কের সুতো আলগা হতে শুরু করে। তার চেয়ে সরাসরি আলোচনা করাই শ্রেয়।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না : প্রতিশ্রুতি দিলে তা রাখার চেষ্টা করুন। কথা দিয়ে কথা না রাখার অভ্যাসে বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ে। দেখা করবেন বলে দেখা দিলেন না, কিংবা ফোন করার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন, দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
সঙ্গীর মতের শ্রদ্ধা করুন : সব সময়ে একে অপরের সঙ্গে মতের মিল হবে না। মতান্তর থাকবেই। তবে তাই বলে সব সময়ে অপর জনের বিরুদ্ধে যাওয়া ঠিক নয়। এমন অনেক বিষয় থাকবে, যা হয়তো আপনার পছন্দ নয়। কিন্তু সম্পর্কের কথা ভেবে কোনও কোনও সময়ে অপছন্দের পক্ষেও এক বার গিয়ে দেখতে পারেন। তাতে ক্ষতি কিছু হবে না।
সঙ্গীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করুন : একসঙ্গে পথচলার ইচ্ছা ছাড়াও দু’জনের আলাদা কিছু স্বপ্নও থাকে। পরস্পরের সেই স্বপ্নগুলিকে সম্মান জানান। স্বপ্নপূরণে উৎসাহিত করুন। এতে সম্পর্কের শিকড় ধীরে ধীরে আরও গভীরে ছড়াতে শুরু করবে। সঙ্গীর ভরসার মানুষ হয়ে ওঠার কোনও বিকল্প নেই।
ব্যক্তিগত বিষয় বজায় রাখুন : সম্পর্কে আছেন মানেই ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু থাকবে না, তা নয়। সম্পর্কেও একটা লক্ষণরেখা থাকা জরুরি। তাই সঙ্গীর ব্যক্তিগত বিষয় ঘাটানোর চেষ্টা না করাই উচিত। সম্পর্কের মাঝেও সঙ্গীকে ব্যক্তিগত সময় দেওয়া উচিত। তাতে সম্পর্ক ঠিক থাকবে। নতুন করে কোনো জটিলতাও জন্মাবে না।
ঠিকানা/এম