তিন বছর সংসার করার পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক তরুণী। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় গত ৬ জুন তরুণীকে তালাকনামা পাঠান স্বামী। এরপর ২৭ জুলাই স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করা হয়।
স্বামী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের আগে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য এক ছেলের প্রেম ছিল। সেটা গোপন করে আমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরও গোপনে ওই ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা চালিয়ে যায়। তাদের কথোপকথনের রেকর্ডও আমার কাছে আছে। একপর্যায়ে বিষয়টি আমি তার মা-বাবাকে জানাই। কিন্তু তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর হঠাৎ গত ১ জানুয়ারি তারা আমার বাড়িতে এসে তাদের মেয়েকে নিয়ে চলে যান। এরপর আর আমার বাড়ি পাঠাননি।’
স্বামী বলেন, ‘আমি বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিসও হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বিষয়টি সমাধান করতে রাজি হননি। এভাবে ছয় মাস পার হওয়ার পর আমি স্ত্রীকে ডিভোর্স (তালাক) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। গত ৬ জুন মেয়ের (স্ত্রী) বাড়িতে তালাকনামা পাঠাই। এরপর ২৭ জুলাই তারা আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
বিয়ের সময় মেয়ের (স্ত্রী) বয়স ১৮ না হওয়ায় কাবিননামা করা হয়নি। এই সুযোগে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন স্বামী।
মেয়ের বাবা বলেন, ‘মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়ার কারণে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে পারব না।’
মেয়ের চাচা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। এ অবস্থায় কিছু বলতে পারব না।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রায় এক মাস আগে আমরা মুরব্বিদের নিয়ে বসেছিলাম। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৭ লাখ টাকা। এ জন্য আমরা ছেলেপক্ষকে ৭ লাখ টাকা দিতে বলেছিলাম। কিন্তু মেয়েপক্ষ সেটা মানেনি। পরে জানতে পারি, তারা নাকি ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে।’
ঠিকানা/এনআই