একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফলাফল অন্য দুই ফরম্যাটের চেয়ে ভালো। তাই তো দর্শকদের চাওয়া থাকে এ ফরম্যাটে ভালো খেলবে দল। তাই ফরম্যাটের স্কোয়াড নিয়েও আলোচনা সমালোচনাও বেশি। বিষয়টি নিয়ে তাই ভাবনা বিসিবি বসেরও।তাই তো বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্পষ্ট করলেন বিসিবি অবস্থান।
৬ মার্চ (সোমবার) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ তৃতীয় ম্যাচ শেষ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের জানান, এশিয়া কাপের যে দল ঘোষণা করা হবে সেটিই হবে বিশ্বকাপের দল। এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কিছু নেই।
তবে এর আগে যে কয়টি সিরিজ রয়েছে, সেগুলো অনেক অভিজ্ঞতা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে হবে। কারণ আমাদের হাতে আর কি অপশন আছে তা জানতে হবে। বিশ্বকাপের সময় যদি কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়ে তার জায়গায় কে খেলবে আমাদের যাচাই করে নিতে হবে। যে কাউকে তো বিশ্বকাপের মত আসরে নেওয়া যায় না।
এ সময় বিসিবি প্রেসিডেন্ট কথা বলেন চলমান ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ম্যাচটি বাজে ভাবে হেরেছি আমরা। প্রথম দুটি ম্যাচে আমাদের যে ব্যাটিং স্ট্রেনথ আছে তার কিছু দেখতে পাইনি। তৃতীয় ম্যাচে এসে কয়েকজন প্লেয়ারের ভালো খেলার কারণে আমরা সম্মানজনক স্কোর করতে পেরেছি। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যে সমস্ত উইকেটে আমরা জিতি বলে সবাই ভাবে, আজকে এখানে প্রমাণিত হলো। উইকেট কোনো ইস্যু না। আমাদের ভালো খেলতে হবে। ভালো খেললে জেতা যায়।
টিম টু টিম বিচার করলে ইংল্যান্ড অবশ্যই শক্তিশালী বলে মনে করেন তিনি। বলেন- হারা-জেতা নিয়ে কোনো বিষয় না, তবে ওভার অল পারফর্মেন্সে খুশি। আমাদের সুযোগ ছিল। প্রথম ম্যাচটায় যদি আমরা আরেকটু রান করতে পারতাম, তাহলে অবশ্যই আমাদের জেতার একটা বিরাট সুযোগ ছিল।
তাঁর মতে, তৃতীয় ম্যাচে ব্যটিং বোলিং এবং ফিল্ডিং ভালো হয়েছে।
অনেকদিন রান না পাওয়া মুশফিকের রানে ফেরা নিয়ে বিষয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত পাপন। জানান- মুশফিকের রান করাটা স্বস্তির। বিপিএলে যখন রান করেছিল আমি তখন তাকে ফোন করেছিলাম। আমি জানি তার সামর্থ্য আছে কিন্তু রান পাচ্ছে না। কোনো একটা ভালো ছেলে রান না পেলে তাকে নিয়ে চিন্তা হতেই হবে। আশাকরি এটা সে ধরে রাখতে পারবে।
এ সময় বিসিবি বস মনে করিয়ে দেন পারফরম্যান্স না করলে কারো দলে জায়গা হবে না।
ম্যাচে সাকিবের অলরাউন্ডার নৈপুণ্য খুশি পাপন জানান, সাকিব আমাদের সেরা খেলোয়াড় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানেও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো সুযোগই নেই। গত টি২০ বিশ্বকাপ থেকে দেখছি তার মধ্যে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সে জেতার জন্য মরিয়া। এটা ভালো দিক। সাকিব যেদিন ফারফর্ম করবে সেদিন যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য থ্রেট হয়ে দাঁড়াতে পারে।