পেশি গড়তে, টিস্যুর ক্ষয়পূরণ করতে এবং কশেরুকা, ত্বক ও রক্ত তৈরি করতে শরীরে চাই প্রোটিন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই জরুরি পুষ্টি উপাদান একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত, নিয়মিত। তবে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার কারণে প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দেন অনেকেই। ফলে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। প্রোটিন নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো নিয়ে হেল্থশটস ডটকম’য়ে ভারতীয় পুষ্টি-বিষয়ক লেখক আয়ুশি গুপ্তার প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে সেসব বিষয় তুলে ধরা হল।
প্রোটিন কমালে ওজন কমবে: প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দিলে স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। যারা ওজন কমাতে চান অথচ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করছেন না, তাদের ওজন কমানো আরও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করার আগে বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী চাহিদা জেনে নিতে হবে।
বেশি প্রোটিন থেকে বৃক্কের রোগ: আসল কথা হল, যদি এর মধ্যেই বৃক্কের রোগ হয়ে থাকে তাহলেই অতিরিক্ত প্রোটিন বৃক্কের জন্য ক্ষতিকর। তাই বৃক্কের রোগ থাকলে প্রোটিনের সঠিক মাত্রা জেনে নিতে হবে।
সবজি খেয়ে প্রোটিন পাওয়া যায় না: মাছ, মাংস না খেয়েও প্র্রোটিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এজন্য বেছে নিতে হবে ডাল, বাদাম, মটর, কাঠবাদাম, সাবুদানা, ভাত, আলু, সবুজ শাকসবজি, মটরদানা, চিয়া বীজ ইত্যাদি। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে পুষ্টিকর এবং নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস।
প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সবার জন্য উপকারী: যারা খাবার থেকে যথেষ্ট প্রোটিন পাচ্ছেন তাদের সাপ্লিমেন্টের দরকার নেই। আর কতটুকু প্রোটিন দরকার তা জানতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের বিকল্প নেই। প্রোটিনের চাহিদা নির্ভর করবে জীবনযাত্রার ধরন, পেশা, লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদির ওপর।
প্রোটিনের প্রধান কাজ পেশি গঠন: প্রোটিনে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যা শুধু পেশিতে নয় বরং হাড়, চুল, লিগামেন্ট এবং হাড়ের জোড়েও থাকে। এমনকি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল এবং ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল দুটোই প্রোটিনের বিভিন্ন উপাদানের ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তাই প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা শুধু পেশি তৈরিতেই সীমাবদ্ধ নয়, পুরো শরীরের জন্যই দরকারী।
ঠিকানা/এসআর