বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই ভারতের মাটিতে পা রেখেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বৈশ্বিক আসরে তুলনামূলক নবাগত নেদারল্যান্ডস ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের মনে। তবে পাক পেস অ্যাটাকের সঙ্গে পারলেন না ডি লিড-কলিন অকারম্যানরা। অঘটনের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮১ রানে হারল নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ৪১ ওভারে ২০৫ রানেই অলআউট হয় ১২ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা নেদারল্যান্ডস।
৬ অক্টোবর শুক্রবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতলেও ফিল্ডিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে বেশ চেপেই ধরেছিল নেদারল্যান্ডস। দলীয় ৩৮ রানেই তিন টপ অর্ডার ফখর জামান (১২), ইমাম-উল-হক (১৫) ও বাবর আজমকে (৫) হারিয়ে বসে বিশ্বকাপ খেলতে সাত বছর পর ভারতে আসা পাকিস্তান।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ১২০ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। দুজনই করেন সমান ৬৮ রান। দলের প্রয়োজনের সময় ইনিংস বড় করতে পারেননি ইফতিখার আহমেদ (৯)। এরপর শাদাব খানকে নিয়ে দলের স্কোরটা বড় করার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। কিন্তু তিনি ৩৯ রানে রানআউট হলে বাস ডি লিড এসে দেন জোড়া ধাক্কা।
হাসান আলীকে (০) এলবিডব্লুও ও শাদাবকে (৩২) বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ জাগিয়ে তোলেন ডাচ অলরাউন্ডার। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও বিশ্বকাপে নিজের অভিষেকেই ৬২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সেরা বোলার তিনি। শেষ দিকে শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ১৩ ও হারিস রউফের ১৬ রানের সুবাদে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮৬। তবে পাকিস্তান পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি, এক ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয় তারা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের শুরুটা খারাপ হয়নি। রানের গতি স্বাভাবিক থাকলেও ডাচদের উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ২৪ ওভার পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসকে ম্যাচে রেখেছিল ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং আর বাস ডি লিডের তৃতীয় উইকেট জুটি। এই জুটিতে ৭০ রান তুলেছেন দুজনে। বিক্রমজিৎ ৫২ রানে ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা সেই অর্থে সঙ্গ দিতে পারেননি ডি লিডকে। বোলিংয়ে বাবাকে ছুঁতে না পারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাবা টিমের এক বিব্রতকর রেকর্ড মুছে দিয়েছেন বাস ডি লিড। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন বাবা ডি লিড। ছেলে বাস শুধু বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেননি, ব্যাটিংয়ে করেছেন দলের সর্বোচ্চ ৬৭ রান। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫৪ বল আগে ২০৫ রানে থামে নেদারল্যান্ডস।
৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলিং হারিস রউফের। ৩৩ রানে ২ উইকেট হাসান আলীর। শাহীন আফ্রিদি, ইফতেখার আহমেদ, নওয়াজ, শাদাব খানরা পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সৌদ শাকিল।
ঠিকানা/এনআই