Thikana News
১৯ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪


 

জিয়া-এরশাদ-খালেদা সবাই তো ভোট চোর: প্রধানমন্ত্রী

জিয়া-এরশাদ-খালেদা সবাই তো ভোট চোর: প্রধানমন্ত্রী


যারা ভোট চুরি করেছে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর। আওয়ামী লীগের হাত ধরে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন হয়েছে। দারিদ্রসীমা ৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না।’ গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শেষে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শ্যামল দত্তের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে অগ্নিসংযোগ, মানুষহত্যাসহ এমন কিছু নেই তারা করেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসে শেষমেষ তারা সরে গেল।’

‘দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলে তখন বলতে হয়, ‘সন্দেহ হয় রে’। যারা ভোট পাবে না, যাদের জনসমর্থন নেই। যাদের কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যখন দেশে স্বৈরশাসন ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থার যে সংস্কার। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এটা আওয়ামী লীগই করেছে। আমাকে শেখাতে হবে না। একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। আমি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।

আজ ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি সবুজ জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন এবং “লস এন্ড ড্যামেজ” ফান্ডকে কার্যকর করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জেইক সুলিভান নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনের মতো বিষয়গুলোতে সরকারের অর্জনের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি আবারও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সভায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জোরদার করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে দুই দেশ।

তিনি বলেন, আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল বলে আমি মনে করি।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অধিবেশন শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে পৌঁছান তিনি।

দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স