‘জালালাবাদ ভবন’ কেনা নিয়ে বিরোধে প্রবাসের সবচেয়ে বড় সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনে বিভক্তি চলছে বহুদিন ধরেই। কোনোভাবেই এই বিভক্তির নিষ্পত্তি হয়নি। কারো প্রচেষ্টাই সফল হয়নি। ফলে পাল্টাপাল্টি বহিস্কারের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর সিলেটবাসীর একসময়ের ঐক্যের প্রতীক জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন দুই ভাগ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর সেই বিভক্তি পাকাপোক্ত করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেছেন- ড. মোমেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। তিনি সরকারে প্রবাসের প্রতিনিধিত্ব করেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি উদ্যোগ নিলে বিভক্ত জালালাবাদকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে একই দিনে দুই জালালাবাদের অনুষ্ঠানে গিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অচ্ছিুক জালালাবাদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, জালালাবাদের বিভক্তি নিয়ে আমরা খুব অস্বস্তিতে আছি। সব মহলের ঐক্য প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ, তখন আশা করেছিলাম প্রবাসীদের বন্ধু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সবাইকে নিয়ে বসে বিরোধ মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু তিনি তা না করে দুই অনুষ্ঠানে গেছেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন যে যারা চুরি-চামারি করে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করুন। আরেক অংশের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেছেন, জালালাবাদ ভবন কেনার পদক্ষেপ ঐতিহাসিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। আর এতে অসন্তুষ্ট হয়েছেন সাধারণ জালালাবাদবাসী। তাদের বক্তব্য- জালালাবাদ ভবন কেনা নিয়েই মুলত বিভক্তির সূত্রপাত। অথচ মন্ত্রী ভবন কেনার পক্ষে বলেছেন। আবার অনিয়ম করে ভবন কেনার বিপক্ষেও মত দিয়েছেন।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বেশ কয়েকজন মুরব্বি উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, মন্ত্রী চাইলে দুই পক্ষকে শর্ত জুড়ে দিতে পারতেন। তিনি চাইলেই সমাধান দিতে পারতেন। অথচ তিনি বিভক্তি পাকাপোক্ত করে গেলেন। এর মাশুল দিতে হবে জালালাবাদবাসীকে।