ঠিকানা রিপোর্ট 
প্রবাসে উপজেলাভিত্তিক অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির নির্বাচনের আর বাকী ১৮ দিন। অর্থাৎ আগামী ২২ অক্টোবর সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের দিন যত কমে আসছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার ততই জমে উঠছে।
এদিকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা যেভাবেই চালান না কেন, এবারের নির্বাচনে ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে সমিতির কল্যাণে কে কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, অতীতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কতটুকু বাস্তবায়ন করেছেন, সেসব বিষয় সামনে আনছেন।
নাম প্রকাশে অচ্ছিুক সাধারণ ভোটাররা বলছেন, বিয়ানীবাজারবাসীর সমিতির প্রধান লক্ষ্য সদস্যদের কল্যাণ। অতীতে অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনেকে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। কিন্তু এবার আমরা চাই- সমিতির ভবন সমিতির নামে স্থানান্তর হোক। কারণ সমিতির ভবন এখন ঋণমুক্ত। তাই সমিতির নামে হওয়াই শ্রেয়। এ নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হোক-আমরা তা চাই না। এ ব্যাপারে কে কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তা আমরা লক্ষ্য করছি। এছাড়া সদস্যদের কল্যাণে ভবিষ্যত প্রতিশ্রুতিকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। এসব ব্যাপারে যাকে যোগ্য মনে হবে তাকেই ভোট দিব। কে কত ভোট তুললো, এবারের নির্বাচনে এসব পাত্তা পাবে না বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে ১৮ দিন বাকী থাকলেও প্রার্থীরা ভোটারদের দরজায় অনবরত কড়া নাড়ছেন। ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে চলছে নির্বাচনী সমাবেশ। আগামী ১৫ অক্টোবর রোববার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মিসবাহ-অপু প্যানেলের শেষ নির্বাচনী সমাবেশ হবে ওজোনপার্কের আল-মদিনা কমিউনিটি সেন্টারে। পরদিন ১৬ অক্টোবর সোমবার শেষ নির্বাচনী সমাবেশ হবে মান্নান-জুয়েল প্যানেলের।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর রোববার সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য সালেহ আহমদ মনিয়া, হেলাল উদ্দিন, মো. আব্দুন নূর এবং নূরুল ইসলাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মান্নান-জুয়েল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- আব্দুল মান্নান (সভাপতি), জহিরুল ইসলাম জুয়েল (সাধারণ সম্পাদক), নিজাম উদ্দীন (সহ-সভাপতি). রাজু আহমদ (সহ-সাধারণ সম্পাদক), আব্দুল হান্নান দুখু (কোষাধ্যক্ষ), আবু তৈয়ব তালহা (সাংগঠনিক সম্পাদক), অনিক রাজ (সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), আব্দুল হামিদ (দপ্তর সম্পাদক), সামশুল ইসলাম (প্রচার সম্পাদক), কিবরিয়া আহমেদ শাহিদ (ক্রিড়া সম্পাদক), মোহাম্মদ এফ এইচ সোনার বলাই (সমাজ কল্যান সম্পাদক) ও ফাতেমা শীলা (মহিলা সম্পাদক)। কার্যকরি সদস্য পদে রয়েছেন ফকরুল হক, নুর উদ্দীন, বদরুল উদ্দীন, হোসেন আহমদ, সামাদ আহমেদ,আব্দুস খান ও আবু জাফর।
মিজবাহ-অপু প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- মিসবাহ আহমেদ (সভাপতি), রেজাউল আলম অপু (সাধারণ সম্পাদক), মুহিবুর রহমান রুহুল (সহ সভাাপতি), আব্দুল ফাত্তাহ (সহ-সাধারণ সম্পাদক), আব্দুল হামিদ (কোষাধ্যক্ষ), মাহমুদুল কবির রুবেল (সাংগঠনিক সম্পাদক), ছিদ্দিক আহমদ (সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), শামসুল আলম শিপলু (দপ্তর সম্পাদক), আবু রাসেল (প্রচার সম্পাদক), জামিল আহমদ (ক্রীড়া সম্পাদক), ফয়েজ আহমদ (সমাজ কল্যান সম্পাদক) ও হাফসা ফেরদৌস হেলেন (মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা)। এই প্যানেলের কার্যকরি কমিটির সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন- মাহবুব উদ্দীন আলম, মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন, ইকবাল হোসেন, রেজোয়ান আহমদ, মাসুদুর রহমান, শরীফ আহমদ ও ফরহাদ হোসাইন।
