Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

বাইডেনের এইচ-২ ভিসা নীতিতে বিপাকে অভিবাসী ও ক্ষুদ্র ব্যবসা

বাইডেনের এইচ-২ ভিসা নীতিতে বিপাকে অভিবাসী ও ক্ষুদ্র ব্যবসা
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এইচ-২ ভিসা নীতির কারণে বিপাকে পড়েছে অভিবাসী ও বাইডেনের এইচ-২ ভিসা নীতিতে  ছোট ব্যবসা। গত সপ্তাহে ৪ লাখ ৭০ হাজার ভেনিজুয়েলাবাসীকে নির্বাসন থেকে রক্ষা করার সিদ্ধান্তটি যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অভিবাসী সংকটকে আরও অস্বাভাবিক করে তুলেছে। বাইডেন কেবল এইচ-২ প্রোগ্রামগুলোতে আরও অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতাই তৈরি করছেন না। তিনি নিয়োগকর্তাদের জন্য ভিসা ফি ১৩০ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছেন। এই বর্ধিত ফি নতুন আশ্রয়ের আবেদনগুলোর জন্য ব্যয় করার কথা। বাইডেনের সাম্প্রতিক অভিবাসী নীতিগুলো একাধিক সমস্যাকে আরও খারাপ করবে বলে ধারণা করা হয়। এইচ-২এ এবং এইচ-২বি ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা ফার্ম-হ্যান্ডস এবং ল্যান্ডস্কেপারের মতো কাজে বৈধভাবে মৌসুমী কর্মীদের নিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক উদ্যোগের কারণে তা বেশ জটিল হয়ে পড়েছে।
এসব ভিসা লেবার সার্কেলের জন্য হলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, এইচ-২এ ভিসায় আসা কর্মীরা আমেরিকার কৃষি শ্রমশক্তির ১০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। শুধু নিউইয়র্ক স্টেটেই ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৬ হাজারের বেশি এইচ-২ ভিসা দেয়া হয়।
কয়েক দশক ধরে নিউইয়র্কের গ্রামীণ কমিউনিটিগুলোতে স্বল্পমেয়াদী শ্রমের জন্য কাজ করতে অভিবাসী পেতে এই ভিসা ব্যবহার করা হয়। 
এই ভিসা পাওয়া সহজ করার পরিবর্তে বাইডেন প্রশাসন কিছু নিয়ম আরোপ ও ফি বৃদ্ধি করে প্রক্রিয়া আরও কঠিন করে তুলেছে। এই পদক্ষেপ এখন অনেক অভিবাসীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য আশ্রয় ব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। 
এর ফলে নিউইয়র্কবাসী একদিকে অভিবাসী খরচে ভর্তুকি দিচ্ছে; অন্যদিকে শ্রমের শূন্যপদগুলো অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ মৌসুমী কর্মী কর্মসূচীর প্রতি অবহেলা রাজনৈতিক ও নীতিগত অসদাচরণের সামিল। ম্যানহাটনে অস্থায়ী অভিবাসী ক্যাম্পগুলো এখন প্রায় উপচেপড়ার উপক্রম। অথচ কয়েকশ মাইল দূরে অসংখ্য ছোট ও গ্রামীণ ব্যবসার মালিকেরা কাজের জন্য লোক পাচ্ছেন না।
এখন যারা নিউইয়র্কে ভিড় করছে তাদের অনেকেই অত্যাবশ্যক এইচ-২ ভিসা পেলে আনন্দের সাথে কাজ করবে। অন্যথায় তাদের জন্য আশ্রয়ই একমাত্র তাৎক্ষণিক বিকল্প।
যেহেতু আশ্রয়প্রার্থীদের মামলাগুলো সিস্টেমের মাধ্যমে এগোয়, তাই তারা  আইনিভাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে ১৮০ দিনের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়। এছাড়া স্থানীয় পরিষেবার উপর তাদের নির্ভরতা নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটির খরচ কমাতে মেয়র এরিক অ্যাডামস অভিবাসীদের আপস্টেট কমিউনিটিগুলোতে পাঠানোর চেষ্টা করেন এবং তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকার করা বিভিন্ন কাউন্টি সরকারের বিরুদ্ধে মামলার উদ্যোগ নেন।
স্থানীয় লোকেরা স্বভাবতই অভিবাসী বিরোধী নয়। তবে খামার মালিকদের অনেকেই দীর্ঘকাল ধরে এইচ-২ ভিসার উপর নির্ভরশীল। বাইডেন বিস্ময়করভাবে এই সুযোগ সীমাবদ্ধ করেছেন।
খামার মালিকরা আইনি জটিলতার কারণে বেকার আশ্রয়প্রার্থীদের চেয়ে বৈধ ভিসাধারী কর্মীদের বেশি পছন্দ করেন।
তাই নিউইয়র্ক সিটিতে অসংখ্য অভিবাসী কর্মহীন থাকে; অথচ রাজ্যের সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শ্রমের ঘাটতিতে ভোগে।
বাইডেনের সাম্প্রতিক নিয়মের আওতায় আপস্টেটের খামারিদের এখনো এইচ-২এ প্রোগ্রাম ব্যবহার করার জন্য আগামী মৌসুমে কয়েক হাজার ডলার লোকসান দিতে হতে পারে। নতুন কিছু ব্যয় হলো তিনগুণ কাগজপত্র এবং বাধ্যতামূলক কর্মচারী ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ বর্ধিত আইনি খরচ।
নতুন ভিসা নিয়মের আগেও খামারিরা বিদেশ থেকে আনা প্রতিটি কর্মী/শ্রমিকের জন্য ১০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করছিলেন।
সর্বশেষ এই প্রবিধানের অধীনে ৬৫ শতাংশ নিয়োগকর্তারা রিপোর্ট করেছেন যে তারা এ বছরে কৃষি ভিসায় কর্মী আনতে সক্ষম হবেন না।
 

কমেন্ট বক্স