নিউইয়র্ক রাজ্যের একজন আইনপ্রণেতা রাজ্যটিকে দুই ভাগে ভাগ করতে চান। রিপাবলিকান অ্যাসেম্বলিম্যান নিউইয়র্ক রাজ্যের ওই অংশটি আমেরিকার ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে চান।
লং আইল্যান্ডের রিপাবলিকান অ্যাসেম্বলিম্যান কিথ পি. ব্রাউন চান, তার এলাকাটি নিউইয়র্কের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ৫১তম রাজ্যে পরিণত হোক। তিনি দাবি করেন, লং আইল্যান্ড হলো ‘নিউইয়র্ক সিটির একটি এটিএম’। তিনি বিশ্বাস করেন, নিউইয়র্ক রাজ্যের বাকি অংশ ছাড়া এই অঞ্চলের নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অর্থ এবং সম্পদ রয়েছে। তিনি কানেকটিকাট বা রোড আইল্যান্ডকে লং আইল্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার ধারণার কথাও বলেন।
কিথ পি. ব্রাউন ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্ট হান্টিংটন, ব্যাবিলন ও ইস্লিপ শহরসহ সাফোক কাউন্টির কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।
লং আইল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা অ্যাসেম্বলিম্যান ফিল রামোস তার ধারণার সঙ্গে একমত নন। তিনি বিশ্বাস করেন, এই ধারণাটি ‘পাগলামি’। তার মতে, রাজ্যের তহবিল ছাড়া লং আইল্যান্ডের প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ করার কোনো উপায় নেই। রামোস আরও বলেন, এই পদক্ষেপটি সংখ্যালঘু কমিউনিটিকে আরও প্রান্তিক করবে।
অবশ্য অ্যাসেম্বলিম্যান ব্রাউন এখনো নিউইয়র্ক রাজ্য থেকে লং আইল্যান্ড পৃথক করার বিষয়ে কোনো বিল উত্থাপন করেননি। তবে নিউইয়র্ক রাজ্যে বিচ্ছিন্নতা বা পৃথক রাজ্য করার প্রস্তাব এটাই প্রথম নয়। অনেক লোক লং আইল্যান্ডসহ রাজ্যের বাকি অংশ নিউইয়র্ক সিটি এলাকা থেকে কতটা আলাদা তা দেখাতে চান।
নিউইয়র্ক রাজ্যেও রয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক বিভাজন। শহরের বেশিরভাগ এলাকাই ডেমোক্র্যাটদের আর গ্রামীণ কৃষি এলাকা রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি।