শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে না ছোঁয়ার আক্ষেপ - ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের কাছে এটা ছিল ‘অলিখিত’ এক নিয়ম। পাঁচবার সিপিএল ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি গায়ানা। অবশেষে সেই গেরো খুলতে পেরেছে গায়ানা। ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে উড়িয়ে ২০২৩ এর সিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গায়ানা।
গায়ানার কাছে লক্ষ্যটা অবশ্য ছিল মাত্র ৯৫ রানের। এই কম রান করে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে নাইট রাইডার্সকে অবিশ্বাস্য কিছু করতেই হতো। ত্রিনবাগো শুরুতেই উইকেট পেয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আকিল হোসেনকে তুলে মারতে যান গায়ানা ওপেনার কিমো পল। মিড অফে সহজ ক্যাচ ধরেছেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। ১১ বলে ২ চারে ১১ রান করেছেন পল। ২.৩ ওভারে গায়ানার স্কোর ১ উইকেটে ১৫ রান।
গায়ানা অবশ্য শুরুর দিকে ধীর গতিতেই ব্যাটিং করছিল। ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২৯ রান করে তারা, যা প্রথম পাওয়ার প্লেতে এবারের সিপিএলে গায়ানার সর্বনিম্ন স্কোর। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে গায়ানা। সপ্তম ওভারে ওয়াকার সালামখেইলের ওভার থেকে নিয়েছে ১৩ রান। যেখানে গায়ানার ওপেনার সাইম আইয়ুব দুটো ছক্কা মারেন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শাই হোপকে নিয়ে সাবলীলভাবেই এগোতে থাকেন আইয়ুব।
আইয়ুব সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলেছেন ১৪তম ওভারে। আলি খানের করা ওভারের প্রথম বল থেকে সিঙ্গেল নেন হোপ। এরপর দ্বিতীয় বলে দুই রান করেছেন আইয়ুব। তৃতীয় বল বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সোজা ছক্কা মারেন আইয়ুব। চতুর্থ বল ডট দিয়ে পঞ্চম বল ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন এই বাঁহাতি ওপেনার। আর ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারেন’ আইয়ুব। ৩৬ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের জয়ে গায়ানাকে প্রথমবারের মতো সিপিএল শিরোপা এনে দিয়েছেন। পাশাপাশি ফিফটিও করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪১ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ত্রিনবাগো। মাত্র ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। এই পরিস্থিতি থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য অনেক চেষ্টা চালান ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেলরা। কিন্তু কোনো উপায় বের করতে পারেননি তারা। একমাত্র কেসি কার্টি ৪৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন, যা নাইটদের ইনিংসের সর্বোচ্চ। তার ওই ইনিংসের সুবাদেই ১৮.১ ওভারে ৯৪ রান করতে পারে দলটি।
গায়ানার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস। ম্যান অব দ্য ফাইনালও হয়েছেন তিনি।
ঠিকানা/এনআই