এশিয়ান গেমস ফুটবলে স্বাগতিক চীন স্বর্ণ জয়ের অভিযানে নেমেছিল। তাদের সামনে বাংলাদেশের মতো ফুটবল শক্তি কিছুই না। সেই শক্তিশালী চীন হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। রোববার গ্রুপের শেষ খেলায় চীন-বাংলাদেশ গোলশূন্য। অনেকের কাছে এটা অকল্পনীয় লাগতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ম্যাচটা ড্র হয়েছে।
২০০২ বিশ্বকাপে খেলা চীন ফিফার র্যাংকিংয়ে (৮০) বাংলাদেশের (১৮৯) চেয়ে ১০৯ ধাপ উপরে। কীভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পারলো না তা চীনারা ভেবে কুল করতে পারছেন না।
হুয়াং লং স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়াম বাংলাদেশের সারা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এশিয়ান গেমসের ফুটবল লড়াইয়ে চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনোই ড্র করতে পারেনি। এশিয়ান গেমস ফুটবলে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দেখাই হলো এবার নিয়ে তৃতীয় বার।
১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়াডে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার জাতীয় ফুটবল দল খেলেছে। আর ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান এশিয়ান গেমস ফুটবলে সিনিয়র দল খেলানোর প্রথা বাতিল করে বয়স (অনূর্ধ্ব-২৩) নির্ধারণ করা হয়। পরে সেটিকে একটু বদলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে তিন জন সিনিয়র ফুটবলার খেলানোর প্রথা চালু করা হয়। সেবার বুসান এশিয়াডেও বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হেরেছিল।
চীন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তিন ম্যাচে গোল করায় রানার্সআপ হয় ভারত, তৃতীয় হয়ে মিয়ানমার নকআউট পর্বে চলে গেছে। গ্রুপে চতুর্থ হলো বাংলাদেশ। চীনের সঙ্গে ড্র করে আফসোসে পুড়ছে বাংলাদেশ। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের বিপক্ষে ভালো খেলেছিল। আত্মঘাতী গোলে হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও ভালো খেলেছে। জনি, হূদয়, শাকিল, ঈসা ফয়সাল, রবিউল, অধিনায়ক রহমত মিয়া, গোলরক্ষক মিতুল মার্মা, মুরাদ হাসান, পাপন সিং, ফাহিমরা শক্তিশালী চীনকে ঠেকিয়ে দিয়েছে।
আগেই কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছিলেন সেরা খেলাটা খেলতে চান। সেটাই হয়েছে। দুর্বল দল নিয়ে এশিয়ান গেমস ফুটবলে খেলতে যাওয়ার বাংলাদেশ একেবারে শূন্য হাতে ফিরছে না। প্রাপ্তি আছে। চীন ৫-১ গোলে ভারতকে হারিয়েছিল।
ঠিকানা/এসআর