একে তো এশিয়ান গেমস। তার ওপর আবার অভিষেক বলে কথা। ম্যাচের গুরুত্ব না থেকে পারে? বাংলাদেশ খেলতে নামল সব হিসাব-নিকাশ করেই। কিন্তু ফল এল উল্টো। অভিষেকটা রাঙানো হলো না জয়ে। দলের সঙ্গে নারী দলের কোচ হিসেবে সাইফুল বারী টিটুর অভিষেকটাও হলো না সুখকর।
বরং যেটা হলো সেটা ভুলে যেতেই চাইবেন সাবিনা খাতুনরা। কারণটা স্বাভাবিক। জাপানের কাছে যে দেশের মেয়েরা হার মেনেছে বিশাল ব্যবধানে। সাবেক বিশ্বজয়ীরা গুনে গুনে ৮ গোল দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জালে।
লড়াইয়ের দুই অর্ধে সমান চারটি করে গোল দিয়েছে জাপানের মেয়েরা। ম্যাচ হারলেও লড়াইটা আলাদা একটা গুরুত্ব পাচ্ছে কৃষ্ণা-সানজিদাদের কাছে। শক্তিশালী জাপানের কাছে হারের অভিজ্ঞতাটা যে তাদের বেশ কাজে দেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বের শীর্ষ সারির দলগুলো থেকে বাংলাদেশের শক্তিমত্তার ব্যবধানটা কতটুকু, সেটা অন্তত বোঝা গেল।
পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে জাপান। যার প্রমাণ তো ম্যাচের ফল। নইলে কি আর ৮-০ গোলে হারে বাংলাদেশ! এই রেজাল্টই বলে দিচ্ছে বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ কতটা খাবি খেয়েছে।
ঠিকানা/এনআই