মুসলিম হ্যারিটেজ মাস এর রেজুলেশন পাস করানোর জন্য কাজ করছেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলী ওমেন ইউডেলকা তাপিয়া ও নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর রোকসানে জে প্রসাদ। আগামী ইয়ারের শুরুর দিকে তারা এই রেজুলেশনটি পাস করানোর জন্য যে যার অবস্থান থেকে আলবেনীতে এটি উত্থাপন করবেন। আর বাংলাদেশীদের মধ্যে এই বিষয়ে কাজ করছেন কমিউনিটির অতি পরিমতি মুখ এবং কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা উদ্দিন।
তিনি ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি ইউডেলকা তাপিয়া ও রোকসানে জে প্রাসাদ এর কাছে দিয়েছেন। সেটি দেওয়ার পর তারা বিষয়টি দেখেছেন এবং সেটি প্রস্তাবাকারে ও রেজুলেশন পাস করানোর জন্য তুলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আর এই কারণেই সম্প্রতি ইউডেলকা তাপিয়া মাজেদা উদ্দিনকে বিষয়টি চূড়ান্ত প্রস্তাবাকারে দেয়ার জন্য বলেছেন। এই ব্যাপারে মাজেদা উদ্দিন বলেন, আমার সাথে তাদের দুইজনেরই কথা হয়েছে। তারা রেজুলেশনটি পাস করলে আগামী বছর থেকেই আমরা এটি পালন করতে পারবো। এটি পালন করা এই জন্য প্রয়োজন যে মুসলিম হ্যারিটেজ মান্থে আমরা মুসলিমদের যা যা প্রয়োজন তা তুলে ধরতো পারবো। মুসলিম মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য হেইট ক্রাইম বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মসজিদে নামাজে যাওয়া আসার পথে নিরাপত্তা প্রয়োজন। রমজান মাসে ও ঈদের সময়ে নিরাপত্তা প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে মুসলিমদের সহায়তা প্রয়োজন। যখন মুসলিম হ্যারিটজ মান্থ এর রেজুলেশনটি পাস হবে তখন মুসলিমরা আরো বেশি করে তাদের প্রয়োজনের কথা বলতে পারবেন।
এদিকে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলী ও নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে রেজুলেশন পাস করা হলে এর পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটিতে মসুলিম হ্যারিটেজ পালন করার জন্য চেষ্টা করা হবে। সেটি করার জন্য সিটি কাউন্সিলে বিষয়টি পাস করাতে হবে। সেটি পাস করানোর জন্য আমি মেয়র অফিসের সাথে কথা বলেছি। আমি কথা বলার পর আমাকে সেটি সিটি কাউন্সিলর অ্যাডরিয়ানা অ্যাডামকে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। আমি তাকে এখনও পাঠাইনি। পাঠাবো। আর এই জন্য এটি তৈরি করছি। স্টেট সিনেটর এবং স্টেট অ্যাসেম্বলী ওমেনের কাছে যেটি পাঠিয়েছি সেটাকে আরো ফাইনালাইজ করে সেটি জমা দিবো। আশা করছি আগামী জানুয়ারিতে এটা জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক স্টেট ও নিউইয়র্ক সিটিতে মুসলিম হ্যারিটেজ মাস এর বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আমরা বাংলাদেশী আমেরিকানরা ও মুসলিমরা বেশ কিছু কাজ করাতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি আগামীতে আমরা আরো ভাল কিছু করতে পারবো। আমারা সাথে অনেক মানুষকে নিবো। সেই সাথে বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনগুলো থাকবে।
বাংলাদেশ আমেরিকান হ্যারিটেজ ডে পালন করবে ১৭ ডিসেম্বর : বাংলাদেশ আমেরিকান হ্যারিটেজ ডে পালন করবে ১৭ ডিসেম্বর। এই ডে পালন করার করার আয়োজকরা উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানের ভেন্যু হিসাবে পছন্দ করা হয়েছে এস্টারিয়ায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ভবনে। আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ মাজেদা উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশী আমেরিকান হ্যারিটেজ ডে পালন করছি। এই ডে পালন করার জন্য ইতোমধ্যে ভেন্যু কর্তৃপক্ষর সাথেও কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসলে আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটিকে আমেরিকানদের ঐতিহ্য শিল্প সংস্কৃতি সম্পর্কে জানানোর দরকার আছে। আর এগুলো জানানোর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী শিল্প ও সংস্কৃতি সব কিছু জানানোর জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।