স্ত্রীর সন্দেহ স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতে শিক্ষক স্বামী আনোয়ার হোসেন অ্যাফিডেভিটের (হলফনামা) মাধ্যমে একটি ভুয়া তালাকনামা তৈরি করেন।
আনোয়ার হোসেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি হাই স্কুলের শিক্ষক। যে নারীকে তালাক দিয়েছেন, তিনিও একই স্কুলের শিক্ষিকা ও তার সহকর্মী। তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষিকা তার সহকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এতে বলা হয়, ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার বিয়েই হয়নি!
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে স্কুলশিক্ষক আনোয়ার আদালতে তার নারী সহকর্মীকে তালাক দেওয়া সংক্রান্ত একটি অ্যাফিডেভিট করেন। কিন্তু বিয়ে না করেও তালাক দেওয়ার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশনা দিলে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই স্কুলশিক্ষককে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার শিক্ষকের স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। অন্যদিকে আদালতে মামলা করা নারী শিক্ষিকা বিধবা এবং তার একটি মেয়ে আছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার বিয়েই হয়নি। স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতেই তিনি অ্যাফিডেভিট করেন।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে গত জুলাই মাসে ধর্মীয় শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঠিকানা/এনআই