Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ ওয়াগনার বাহিনীর

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ ওয়াগনার বাহিনীর ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভাড়াটে সেনাদের দল ওয়াগনার।ওয়াগনার যোদ্ধাদের কাঁধে ভর করেই ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের বাখমুত অঞ্চল দখল করতে চলছে রুশ বাহিনী। কিন্তু সেই ওয়াগনার প্রধানই এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করার অভিযোগ তুলেছেন।

বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তাদের প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করছে না মস্কো। যেটিকে সহজ কথায় ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে বর্ণনা করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।

ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে হাজার হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা যুদ্ধ করছে। তাদের নিষ্ঠুরতায় চিত্র দেখে চমকে গেছে গোটা বিশ্ব।

গত বছরের শেষ দিকে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু নতুন বছরে ওয়াগনার বাহিনীর প্রচণ্ড তাণ্ডবে রাশিয়া ইউক্রেইনের একাধিক ‍অঞ্চলে বিজয় দেখেছে বা দেখতে চলেছে।

তবে সম্প্রতি ওয়াগনার ও মস্কোর মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে বলে  জানায় বিবিসি।

যে হাজার হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা বর্তমানে ইউক্রেইনে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছেন তাদের কাউকে কাউকে সরাসরি রাশিয়ার কারাগার থেকে বের করে যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার এক পোস্টে প্রিগোজিন বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি একটি চুক্তি সই হয়েছে। মস্কোর পরদিন বাখমুতে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ পাঠিয়ে দেওয়ার কথা।

কিন্তু যেসব গোলাবারুদ পাঠানোর কথা ছিল তার বেশিরভাগই পাঠানো হয়নি। এবং ইচ্ছা করেই সেগুলো পাঠানো হয়নি বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পরদিন প্রিগোজিন আরও একটি পোস্টে দাবি করেন, তার প্রতিনিধি রাশিয়ার সেনা কমান্ডের সদরদপ্তরে প্রবেশ করতে পারছেন না।

যদিও সেই সেনা সদরদপ্তর কোথায় তা তিনি জানাননি। এর আগে শনিবার আলাদা আরেকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।

বিবিসি জানায়, সেটি দেখে যদিও মনে হয়েছে সেটি ফেব্রুয়ারি মাসে ধারণ করা।

ওই ভিডিওতে প্রিগোজিনকে বলতে শোনা যায়, তার যোদ্ধাদের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে, যদি রাশিয়া ইউক্রেইন যুদ্ধে হেরে যায় তবে তাদের বলির পাঠা ‘বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘‘যদি আমরা পিছিয়ে আসি, তবে ইতিহাসে এটা লেখা থাকবে যে, এই যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পেছনে মূল পদক্ষেপ আমরাই গ্রহণ করছিলাম।

‘‘এবং গোলাবারুদের অভাবের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট করে এটাই মূল সমস্যা। এটা আমার মতামত নয় বরং সাধারণ সব যোদ্ধার মত।

তারা কী বোঝাতে চাইছে, বলতে চাইছে আমরা নির্বোধ?.. এ কারণে তারা আমাদের গোলাবারুদ দিচ্ছে না, অস্ত্র দিচ্ছে না, নতুন করে যোদ্ধা দিচ্ছে না?”

যদি তার বাহিনী না থাকে তবে রুশ বাহিনী যুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও ওই ভিডিওতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

‘‘যদি ওয়াগনার পিএমসি বাখমুত থেকে পশ্চাদপসরণ করে, তবে পুরো বাহিনী, যেটিকে পিএমসি ওয়াগনার দাঁড় করিয়ে রেখেছে তারা গুঁড়িয়ে যাবে।”

গত মাসেও একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন প্রিগোজিন। তিনি তখন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভালেরি জেরাসিমোভের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, তারা ইচ্ছা করে তার বাহিনীকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করছে না।

কমেন্ট বক্স