Thikana News
১৫ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা, স্বপ্নভঙ্গ পাকিস্তানের

রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা, স্বপ্নভঙ্গ পাকিস্তানের ছবি সংগৃহীত
শেষদিকে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার জয় প্রায় কেড়ে নিচ্ছিলেন বাবর আজমরা। তবে চারিথ আসালাঙ্কা দাঁড়ালেন বাধা হয়ে। শেষ দুই ওভারের নাটকীয়তা শেষে জয় তুলে নিল লঙ্কানরাই। রুদ্ধশ্বাস এই জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা। আর স্বপ্ন ভঙ্গ হলো পাকিস্তানের।

একদিকে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, অন্যদিকে বৃষ্টি। ফাইনালের পথে পাকিস্তানের সামনে একই সঙ্গে বাধা ছিল এই দুই-ই। বৃষ্টি-বাধা অবশ্য পেরোতে পারল বাবর আজমের দল। টস জিতে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে গড়ল চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। তাতে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সম্ভাবনাও তৈরি হলো। কিন্তু আসরের সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা এর পরের গল্পটা লিখল অন্যভাবে। শ্রীলঙ্কা না বলে কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কা লেখাই ভালো। এই দুইয়ের বিশ্বস্ত ব্যাটই লঙ্কানদের তুলে দিল ফাইনালে।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শেষ বলে মীমাংসিত রোমাঞ্চকর লড়াইটা লঙ্কানরা বৃষ্টি আইনে জিতেছে ২ উইকেটে। ৪২ ওভারে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৫২ রানের। মেন্ডিস ৮৭ বলে ৯১ রানের ইনিংসে ভিত্তি গড়ে দেওয়ার পর আসালঙ্কা প্রবল চাপ সামলে ম্যাচ শেষ করে ফিরেছেন। ৪৭ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেষ দুই বলে ৬ রানের সমীকরণ মিলিয়েছেন এই বাঁহাতি। সাদিরা সামারাবিক্রমা খেলেছেন ৫১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস।

বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা পর ম্যাচটি শুরু হয়েছিল। তখন ৪৫ ওভারে নামিয়ে আনা হয় ম্যাচ। কিন্তু টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ইনিংসের মাঝপথে ফের বৃষ্টি হানা দিলে আরও তিন ওভার কমে ৪২ ওভারে নেমে আসে খেলা। পাকিস্তান তাতে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের পুঁজি গড়ে। পরে ডিএল ম্যাথডে লঙ্কানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২ ওভারে ২৫২।

পাকিস্তানের ইনিংসে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম রিজওয়ান। বলা যায়, এই ম্যাচে নায়ক হওয়ার কথা ছিল তার। ৭৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৮৬ রান করেন তিনি। যদিও দলটির শুরুটা ভালো ছিল না। ফখর জামান (১১ বলে ৪) ফিরে গিয়েছিলেন দ্রুতই। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক অবশ্য দারুণ খেলছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটজুটিতে অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ৭০ বলে ৬৪ রান যোগ করেন আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা এই ব্যাটার। বাবর অবশ্য নিজের ইনিংসটা ২৯ রানের বেশি লম্বা করতে পারেননি। লঙ্কান তরুণ দুনিত ভেল্লালাগের বলে স্টাম্পড হন তিনি। চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা শফিক অবশ্য তুলে নেন এই ফরম্যাটে নিজের প্রথম ফিফটি। ৬৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় উপহার দেন ৫২ রানের ইনিংস।

এরপর চারে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাতে নামা মোহাম্মদ ইফতিখার ইনিংসটা টেনেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৭৮ বলে ১০৮ রান। দুই জুটিতে ভর করেই মূলত পাকিস্তান বড় পুঁজি গড়তে পারে। প্রথম ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছিল মাত্র ১৩ রান। কিন্তু সেই দলটাই শেষ ১০ ওভারে তুলেছে ১০২ রান। ইফতিখারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৭ রান।

১৭ সেপ্টেম্বর রোববার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ ভারত।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স