সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ঐক্য আর ফেরানো গেল না। শেষ পর্যন্ত মামলায় গড়ালো বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। জালালাবাদ ভবন কেনা নিয়ে সৃষ্ট এই জটিলতা নিরসনে মুরব্বিরা চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু কারো পরামর্শ বা উদ্যোগ কেউ গ্রহণ করেননি। ফলে বদরুল খান ও মইনুলের নেতৃত্বে চলছে দুই জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। 
জানা গেছে, বদরুল খানের নেতৃত্বাধীন কার্যকরী কমিটি কুইন্স কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ৩১ আগস্ট সংগঠনটির পক্ষে অ্যাটর্নি জোসেফ এফ ম্যাটন মামলাটি দায়ের করেন। তালিকায় মইনুল ইসলামসহ ওয়াশিংটন ইকুয়েটি এন্ড ফান্ডিং করপ, মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ (সাবেক সাধারণ সম্পাদক), মইনুল হক চৌধুরী (সাবেক সভাপতি), ময়নু জামান চৌধুরী ও মেগা হোম রিয়ালিটির নাম রয়েছে। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাড়ে ৩ লাখ ডলার আইন বর্হিভূতভাবে উত্তোলন করার অভিযোগেই এ মামলা। সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। 
এদিকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ট্রার্স্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের অর্থ কেলেংকারির তদন্ত ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস ও আদালতে তদন্তাধীন থাকার কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, আমি ডিস্ট্রিক্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বে রয়েছি। এমতাস্থায় নিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিলাম। 
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান এ ব্যাপারে ঠিকানাকে বলেন, আমাদের সংগঠনের ট্রাস্টি অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি। তবে এখনো এ ব্যাপারে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। কার্যকরী পরিষদের পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।  
একটি অলাভজনক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার অর্থ কেলেংকারিতে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস তদন্তও করছে বছরের শুরু থেকেই। ইতিমধ্যে সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ইন্টারভিউ নিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস। সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগ আনে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র কার্যকরি পরিষদ। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস বাদী পক্ষের স্টেটমেন্ট গ্রহণ করেছে। তারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, গঠনতন্ত্রের কপি ও বিভিন্ন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন। এটি একটি ক্রিমিনাল কেস হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। কেসটির ওপর এখনও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।। অ্যাটর্নি অফিস জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলাম (বহিস্কৃত) সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদেরও বক্তব্য নিয়েছে। করোনাকালীন নন প্রফিট সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আড়াই লাখ ডলার কিভাবে অয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে একটি কনস্ট্রাকশন ফামের্র অ্যাকাউন্টে জমা হলো তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারি অফিসাররা। 
আইনী পদক্ষেপের ব্যাপারে জালালাবাদের সভাপতি বদরুল খানের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি বলেন, মইনুল ইসলামের ব্যাপারটি আইনী প্রক্রিয়াধীন। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে সংগঠনের অর্থ লোপাট করে কেউ রেহাই পাবে না। জবাবদিহিতার আওতায় একদিন আসতেই হবে। মনে রাখতে হবে জালালাবাদের অর্থ সিলেটবাসীদের আমানত। 
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন সিলেটবাসীর আস্থার স্থল। আমার বিশ্বাস আইনী প্রক্রিয়াতেই ফয়সালা হবে। 
                           
                           
                            
                       
     
  
 


 ঠিকানা রিপোর্ট
 ঠিকানা রিপোর্ট  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
