Thikana News
১৯ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪


 

নিরাপত্তার আশ্বাসে মার্কিন দূতাবাস ছাড়লেন এমরান

নিরাপত্তার আশ্বাসে মার্কিন দূতাবাস ছাড়লেন এমরান ছবি সংগৃহীত


নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা অবস্থানের পর মার্কিন দূতাবাস ছেড়েছেন সদ্য সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে এমরান তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে দূতাবাস থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন।

এমরান সাংবাদিকদের জানান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের পর তার মনে হয়েছিল তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এ জন্য তিনি দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

দূতাবাস থেকে বাড়ি ফেরার পর এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিকেলে দূতাবাসে যাওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। দূতাবাস থেকে ফেরার পথে আমার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর বাসায় চলে এসেছি।’

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগ বলছে, তিনি লালমাটিয়া ‘সি’ ব্লকের তার বাসার উদ্দেশে চলে গেছেন। এর আগে বিকেল ৪টা থেকে সপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে মার্কিন দূতাবাসে অবস্থান নিয়েছিলেন এমরান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘তিনি বাসার উদ্দেশে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস ছেড়েছেন বলে জেনেছি।’

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গুলশানে দূতাবাসের বহির্বিভাগের অভ্যর্থনা কক্ষে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বসে ছিলেন। তাকে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তবে দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সঙ্গে কাউকে কথা বলতে বা দেখা করতে দেননি। দূর থেকেও কাউকে ছবি তুলতে দিচ্ছিলেন না।

নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, শুক্রবার বিকেল চারটার একটু আগে এমরান আহম্মদ  ভূঁইয়া দূতাবাসে পৌঁছান।

এর আগে ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া বার্তায় এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে...। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত চার-পাঁচ দিন যাবৎ অনবরত হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালোবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ তিনটা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার তিন মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স