Thikana News
২৪ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

নিজেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটি মারা গেছে

নিজেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটি মারা গেছে ছবি সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দগদগে ক্ষত নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটি মারা গেছে। ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা পৌনে একটায় চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ কার্যালয়ে বানরটির মৃত্যু হয়।

বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে বানরটিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা বানরটিকে সুস্থ করে তুলতে সব ধরনের চেষ্টাই করেছেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেটি হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে।

খাওয়া বন্ধ করার পর বানরটিকে ফের চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে রাতে বানরটিকে নিয়ে আসা হয় এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তরল খাবার খাওয়ানো হয়। কিন্তু বানরটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। শুক্রবার দুপুরে বানরটি মারা গেছে।

দীপান্বিতা ভট্টাচার্য আরও জানান, বানরটির মৃতদেহ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের ভেতরে পুঁতে ফেলা হবে।

উল্লেখ্য, খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসা বানরটি গত ২৮ আগস্ট সীতাকুণ্ডের পৌর সদরের নামারবাজার এলাকায় বৈদ্যুতিক শকে গুরুতর আহত হয়। এরপর উপস্থিত দুই যুবক বানরটিকে অটোরিকশায় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তারা বানরটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাগানে ছেড়ে দিয়ে আসেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে শরীরে দগদগে ক্ষত নিয়ে ফের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের সামনে ছুটে আসে বানরটি। হাসপাতালের রেলিংয়ের ওপর অপেক্ষমাণ বানরটিকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেন।

এ সময় বানরটিকে উদ্ধারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও বন বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু তারা না আসায় ৩ সেপ্টেম্বর সকালে দ্বিতীয়বার হাসপাতালের সামনে ছুটে আসে বানরটি। সেটিকে চিকিৎসাসেবা দেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। একইভাবে পরদিন ৪ সেপ্টেম্বরও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের বাইরের রেলিংয়ের ওপর অপেক্ষমাণ ভঙ্গিতে বসে থাকে বানরটি। স্বাস্থ্যকর্মীরা ড্রেসিংয়ের ওষুধপত্র নিয়ে এলে বানরটি ধীরে ধীরে তাদের সামনে আসে। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা আগের ব্যান্ডেজ খুলে আবার ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে দেন। ড্রেসিংয়ের সময় হাসপাতালের সিঁড়ির রড ধরে একেবারে শান্তভাবে বসে ছিল বানরটি। 

ড্রেসিং শেষে ব্যান্ডেজ লাগানোর পর বানরটি বাগানে চলে যায়। সেদিন দুপুরে বানরটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কিন্তু চোট গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এস কাদেরী টিচিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর রাতেই চট্টগ্রামের ষোলো শহরে অবস্থিত বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স