জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগে সারা দেশে স্থগিত থাকা সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ২ নভেম্বর (রবিবার) সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয় রূপায়ন ট্রেড সেন্টার থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন এখনো দৃশ্যমান নয়। শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও উদ্বেগজনকভাবে ঘটছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকাকে ‘অভ্যুত্থানের আদর্শের প্রতি অবমাননা’ বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। তাদের ভাষ্য, ‘হাজারো শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার যদি বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই সংগ্রামের ধারা নতুন করে সর্বস্তরে জাগ্রত করতে হবে।’
এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সব ইউনিটকে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘ঐতিহাসিক এক দফা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পূর্ণ বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনও অসম্পূর্ণ। সেই অসম্পূর্ণ সংগ্রামকে সংগঠিত ও ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিতে সারা দেশে কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হলো।’
ঠিকানা/এএস



ঠিকানা অনলাইন


