গতির ভয় ছিল আগে থেকেই। সেটি যেন জেঁকে বসেছিল ক্রিকেটারদের মনেও।
মেহেদী হাসান মিরাজের আউটের ব্যাখ্যা তো আর কিছুতেই পাওয়া যায় না। পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারানোর পর আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তাদের ফেরার পরও দলের রানটা আর বাড়েনি সেভাবে।
লাহোরে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের সামনে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯৩ রান করে তারা।
বাংলাদেশের হতাশার শুরু হয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। আগের ম্যাচে মেক শিফট ওপেনার হয়ে খেলতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। তাকে এ ম্যাচেও নামানো হয়েছিল উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে। কিন্তু নাঈম শেখ প্রথম ওভার মেডেন দেওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই আউট হয়ে যান মিরাজ। প্যাডে আসা বল স্কয়ার লেগে অপ্রত্যাশিতভাবে ক্যাচ দেন তিনি।
জ্বরের কারণে আগের দুই ম্যাচে না থাকা লিটন দাস একাদশে ফেরেন। উইকেটে এসে দারুণ কিছু শটও খেলেন তিনি। কিন্তু পা দেন শাহিন শাহ আফ্রিদির ফাঁদে। কয়েকটি বল ব্যাটে খেলিয়ে, স্লোয়ার দিয়ে, হুট করেই জোরের ওপর বাউন্সার করেন তিনি। সেটি বুঝতে না পারা লিটনের ব্যাটের কানায় বল লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪ চারে ১৩ বলে ১৬ রান করে।
নাঈম শেখও কিছু শটে আত্মবিশ্বাসের ছাপ রাখছিলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও বড় করতে পারেননি ইনিংস। ৪ চারে ২৫ বলে ২০ রান করে হারিস রউফের বলে পুল করতে যান তিনি। টাইমিং ঠিকঠাকমতো হয়নি, নিজেই সহজ ক্যাচ নেন রউফ। এরপর হারিস রউফের গতিতে পরাস্ত হন তাওহীদ হৃদয়ও। ৯ বলে ২ রান করে তিনি হয়ে যান বোল্ড।
পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে ধীরে ধীরে টেনে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দুজনই দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। আশাও বাড়ছিল বড় রানের। এর মধ্যে জুটির একশর সঙ্গে সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। কিন্তু এর পরই যেন বিভ্রান্ত হয়ে যান সাকিব। তার পেটের কাছে থাকা বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন তিনি। ফাহিম আশরাফের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব। আর মুশফিক আউট হন ৮৭ বলে ৬৪ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিল করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ চার উইকেট ও হারিস রউফ তিন উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন আফ্রিদি, ফাহিম ও ইফতেখার।
ঠিকানা/এনআই