Thikana News
২৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কাতারের ভূমিকার ট্রাম্পের প্রশংসা 

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কাতারের ভূমিকার ট্রাম্পের প্রশংসা  আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে জ্বালানি ভরার জন্য যাত্রাবিরতিকালে ২৫ অক্টোবর দোহায় এয়ার ফোর্স ওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি (বামে) এবং প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল-থানি (বামে) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি



 
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রাখতে কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৫ অক্টোবর (শনিবার) তিনি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাতারের অবদান অসাধারণ।’

এ সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি। ট্রাম্পের এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাদের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। 

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছি—বিশেষ করে গত এক বছরে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে এবং কাতার এতে বড় ভূমিকা রেখেছে।’

কাতারের আমির এক্সে এক পোস্টে জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক ছিল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনা ও গাজা যুদ্ধবিরতি জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করার ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা (ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও) সম্প্রতি ইসরায়েল সফর করেছেন যাতে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন শান্তি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যায়।

বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে এবং আমি আশা করি তা বজায় থাকবে। যদি না থাকে, হামাসকে সামলানো কঠিন হবে না।’

ট্রাম্প আরও জানান, গাজায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাতারসহ ৫৯টি দেশ অংশ নিতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একটি স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হবে।’

কাতারের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের নেতারা ‘আঞ্চলিক শান্তি উদ্যোগ, গাজা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং এর শর্তসমূহ কার্যকর রাখার’ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অন্তত একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের এক সদস্যকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

গাজা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘এটি যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৮৮টি এমন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।’

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও জানান, গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাতে জাতিসংঘের প্রস্তাব বা আন্তর্জাতিক চুক্তি গঠন করা হতে পারে।

দোহা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক দোরসা জাব্বারি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের বার্তা স্পষ্ট—গাজা যুদ্ধবিরতিতে কাতারের মধ্যস্থতা ছিল মূল চাবিকাঠি এবং ভবিষ্যৎ আলোচনাগুলোতেও তাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।’

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স