সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের পয়েন্টের বিকল্প ছিল না। সোমবার গ্রুপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে বাংলাদেশ একমাত্র জয়সূচক গোল করে। অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে আশিকুর রহমান লাফিয়ে হেড করে। আশিকের হেড জটলার মধ্যে এক ড্রপ করে জালে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ টেন্ট গোলের আনন্দে মেতে ওঠে।
পিছিয়ে পড়ে নেপাল ম্যাচে ফেরার প্রাণান্ত চেষ্টা করে। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল। ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং ব্যর্থতায় ম্যাচে সমতা আনতে পারেনি হিমালয়ের দেশটি। বিশেষ করে ৭৮ মিনিটে নেপাল এক আক্রমণে বাংলাদেশের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে পোস্ট উন্মুক্ত করলেও বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয়।
বাংলাদেশও ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পেয়েছিল। ৮৮ মিনিটে বাংলাদেশের এক আক্রমণ গোললাইন থেকে সেভ করে নেপাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ৬ মিনিট ইনজুরি সময় দেন রেফারি। একেবারে শেষ মিনিটে নেপাল বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায়। বক্সের উপর থেকে নেওয়া জোরালো শটটি পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যায়। শটের পরপরই রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে আর নেপালের খেলোয়াড়েরা হতাশায় নুয়ে পড়ে।
গ্রুপের দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৩। ভারত এক ম্যাচে ৩ আর নেপাল এক ম্যাচে শূন্য। তাই ভারত-নেপাল ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালের জন্য। ভারত জিতলে বা ড্র করলে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে সহজভাবেই। নেপাল ভারতকে ১-০ গোলে হারালে নাটকীয়তা তৈরি হবে। তখন তিন দলেরই পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান সমান হবে। তখন কার্ডের ভিত্তিতে দুই দল সেমিফাইনাল খেলবে। আবার নেপাল ২ গোলের ব্যবধানে জিতলে তখন গোল ব্যবধানে ভারত বাদ পড়তে পারে। নেপাল যদি গোল দিয়ে এক গোলের ব্যবধানে জিতে তাহলে ভারত ও নেপাল সেমিফাইনাল খেলবে।
ঠিকানা/এনআই