Thikana News
১৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তানের কাছে হারের হতাশায় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

আফগানিস্তানের কাছে হারের হতাশায় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের ছবি সংগৃহীত



 
টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে বাংলাদেশ ধবলধোলাই করলেও ব্যাটিং নিয়ে একটা অস্বস্তি ছিলই। প্রায় সব ম্যাচেই ইনিংসের কোনো না কোনা পর্যায়ে ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে হয়েছে দলকে। যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে বাংলাদেশ তিন টি-টোয়েন্টির তিনটিতেই জিতেছে। আর এই সাফল্যে দলের ব্যাটিং ভঙ্গুরতা আড়ালে চলে যায়। ব্যাটিংয়ের সেই নড়বড়ে অবস্থা দেখা গেল একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও।

আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হয়েছিল শারজায়। সংস্করণ কিংবা ভেন্যু বদল হলেও তাতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক বদল নেই। থাকলে কি আর প্রথম ওয়ানডেতে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয়! ইদানীং টি-টোয়েন্টিতেই ২০০ রান হচ্ছে হরহামেশা।

বাজে ব্যাটিংয়ের জন্যই বাংলাদেশ আবুধাবিতে আফগানদের লক্ষ্য দিতে পারে ২২২ রান। এর পরও ম্যাচ জিততে হলে বল হাতে শুরুর দিকেই পেসারদের আগুনের হলকা তুলতে হতো, স্পিনারদের হয়ে উঠতে হতো দুর্বোধ্য। কিন্তু সেটা হয়নি।

আফগানদের প্রথম উইকেটই পড়ে ৫২ রানে। আর বাংলাদেশ ৫৩ রানে হারায় ৩ উইকেট! দুই দলের দুই ইনিংসের দু’রকম শুরুটাই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে।

৫২ রানে ইব্রাহিম জাদরানের (২৩) কিছু সময় পরই ফিরে যান সেদিকউল্লাহ আতাল (৩)। এই জোড়া ধাক্কার পর ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ, সেটি উবে যায় রহমত শাহ ও ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ১১১ বলে ৭৮ রানের জুটিতে। ঠিক ৫০ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে ফিরে যান রহমত শাহ। তাকে অনুসরণ করেন গুরবাজও। তিনিও করেন ঠিক ৫০ রান। অধিনায়ক মিরাজের শিকার গুরবাজের ৭৬ বলের ইনিংসটিতে আছে ১টি চার ও ১টি ছয়।

১৩৬ রানে পরপর দুই ওভারে আফগানদের ২ উইকেটে খোয়ানোর পর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু তখন জয়ের জন্য আফগানদের দরকার ছিল ৮৬ রান, হাতে ছিল ১০৮ বল। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাশমতউল্লাহ শহীদির জুটিতে সেই উচ্ছ্বাস হাওয়ায় মিলে যেতে সময় লাগেনি। ৪৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করা ওমরজাইকে ফেরান সাকিব। ততক্ষণে আফগানিস্তানের জয় অবশ্য নিশ্চিতই বলা যায়। ১৭ বল হাতে রেখে শেষ কাজটুকু সেরে মোহাম্মদ নবি অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। এ ছাড়া আফগান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩৩ রান।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। টসের পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ‘উইকেট ভালো, ২৮০ হলে লড়াই হবে।’ এই রান করতে পারলে মানসিকভাবে চাপে ফেলা যেত আফগানদের। কিন্তু নড়বড়ে ব্যাটিং হলে যা হয়! দলীয় ফিফটি পেরোতেই তানজিদ (১০), শান্ত (২) ও ফর্মে থাকা সাইফ হাসানকে (২৬) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়ের প্রতিরোধ। ১৪২ বলে ১০১ রান করেন তারা। শুরুর তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার ধাক্কা তাতে কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু ৭৫ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৫৬ রানে আউট হন হৃদয়। তার ৮৫ বলের ইনিংসটিতে আছে ১টি চার ও ৩টি ছয়। ৩৬তম ওভারে ভুল-বোঝাবুঝিতে হৃদয় রানআউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। হৃদয়ের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঘাতক বোলার রশিদ খান। উইকেটে থিতু হওয়া মিরাজকে তো ফিরিয়েছেনই, থিতু হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আগেই ফিরিয়েছেন জাকের আলী অনিক ও নুরুল হাসান সোহানকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বাজে কাটানো জাকের ১৬ বল খেলে করেছেন ১০ রান। ১৪ বল খেলে ৭ রান করেছেন সোহান।

বাংলাদেশের রানকে ২২১-এ নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা তানজিম হাসান সাকিবের। ২৩ বলে করেছেন ১৭। বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান ও ওমরজাই।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স