নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেছেন, আমি মনে করি আমাদের নির্বাচন যদি খারাপ হয়ে থাকে অতীতে কালেক্টিভ ডিসঅর্ডার। আমরা সবাই মিলে খারাপ করেছি। আর সামনে যদি আমাদের নির্বাচন ভালো করতে হয় কালেক্টিভলি আমাদেরকে ভালো করতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। কারণ আমরা সবাই ভাবমূর্তি সংকটে আছি। সেটা নির্বাচন কমিশন বলি, পুলিশ বলি, প্রশাসন বলি, মিডিয়া বলি এনিওয়ান আমরা সবাই ভাবমূর্তি সংকটে আছি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৬ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে ইসি আবুল ফজল সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ আরও বলেন, এই আস্থার সংকটটা কাটিয়ে ওঠাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই নির্বাচন কমিশনের জন্য খুব ভালো হতো যদি আমরা মান ধরে রাখার কাজটা করতে পারতাম। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে আমাদেরকে রিভার্স করতে হচ্ছে সবকিছু।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে ডিসইনফরমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি পৃথিবীর অনেকগুলো ইলেক্টরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সাথে মিটিং করেছি। নো লেস টু ডজন সবারই কমন কনসার্ন, অনেকে আজকে কনসার্ন এক্সপ্রেস করছেন যে, ইলেকশন টুডে ইজ বিং ফ্রি বাট নট ফেয়ার। বিকজ অব ইন্টারভেনশন অফ অ্যান্ড বিকজ অব মিসইউজ অফ সোশ্যাল মিডিয়া। আমি একটা উপাত্য তুলে ধরি। লাস্ট জার্মান ইলেকশনে ৮৮ ভাগ ভোটার ভেবেছেন ফেয়ার হবে না।
আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেন, এই যখন একটা গ্লোবাল বাস্তবতা আমি সাউথ আফ্রিকার ইলেকশন কমিশন মিটিং করছিলাম। তারা গত তিনটা নির্বাচন ধরে এটার ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সক্ষমতা ডেভেলপ করেছে। করার পরে উনি বললেন, আমাদের পোস্ট ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট ছিল যে আমরা আমাদের চেয়ে আমাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচরণ করেছেন সাড়ে তিন গুণ বেশি প্রস্তুত ছিলেন। এটার ইন্টারভেনশন এ পর্যায়ে গিয়ে থেকেছিল যে, এক পর্যায়ে গিয়ে ইলেকশন তারা কন্ডাক্ট করতে পারেনি।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এই যখন বৈশ্বিক বাস্তবতা, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ অনেক। আমরা বুঝতেই পারছি। মিসইনফরমেশন ডিসইনফরমেশন যত বেশি ছড়াচ্ছে মানুষের মাঝেও কিন্তু সন্দেহ প্রবণতা তত বাড়ছে। যদিও বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এটার প্রভাব এখনো অনেক বেশি আছে। আর প্রভাব আরেকটা কারণ হচ্ছে প্রিভিয়াস পজিশন ও কনফরমেশন বায়াস। যখন আমার পক্ষে যাচ্ছে তথ্যটা সত্য হোক মিথ্যা হোক আমি নিয়ে এটা সাথে সাথে পোস্ট করে দিচ্ছি। আর যখন আমার বিপক্ষে যাচ্ছি তখন আমি এটার বিরুদ্ধে একটা নোংরা কথা লিখছি। এটা কেমন যেন একটা বিহেভিয়ারাল ড্যামেজ হয়ে গেছে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে। তো আমরা যে ইনশাল্লাহ পদ্ধতিটা নিতে যাচ্ছি সংক্ষেপে যেটা বললাম। আমরা ওপেন এন্ডেড রাখব। আমরা কোন লিমিট করবো না।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের বিশেষ করে নির্বাচনি সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি যে তিনটা নির্বাচনে কথা বলছি তখন পর্যন্ত কিন্তু সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হয় নাই। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘট। এখন এটা একটা কালচারাল রূপ ধারণ করেছে কিন্তু সোসাইটিতে। মানে আমি ভেবে নিচ্ছি যে আমার সিলমারাটা আমি করলে এটা ঠিক আছে বা আমি যদি থাকতে পারি ঠিক আছে। এখানে অনেক কথাই রিফলেক্ট।
ঠিকানা/এএস