Thikana News
২৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫


প্রবাসীদের ভোটের খরচ বহন করবে সরকার : ইসি সানাউল্লাহ

প্রবাসীদের ভোটের খরচ বহন করবে সরকার : ইসি সানাউল্লাহ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় কথা বলেন।



 
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রবাসীদের প্রতিটি পোস্টাল ভোটিংয়ের জন্য ৭০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। ইসির ধারণা, প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ প্রবাসী ভোট দিতে নিবন্ধন করবেন। তবে, এজন্য প্রবাসীদের কোনো চার্জ লাগবে না। এ ব্যয় সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নির্বাচন কমিশনে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ এ কথা বলেন।

ইসি মো. সানাউল্লাহ বলেন, পোস্টাল ভোটিং একটি ব্যয়বহুল বিষয় ডেফিনেটলি। আমরা মনে করি এটি একটি যৌক্তিক ব্যয় প্রবাসীদের জন্য। তবে প্রশ্ন থাকে যে, কীভাবে তারা ভোট দিতে পারবেন বা নিবন্ধন পাবেন কীভাবে। এখানে দুটো নিবন্ধনের ব্যাপার আছে। একটা হচ্ছে ভোটার নিবন্ধন, আরেকটা হচ্ছে প্রবাসীকে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন। যাদের হাতে এনআইডি আছে, আমি যদি খুব সংক্ষেপে বলি, তারা সবাই ভোটার। আইন অনুযায়ী একজনকে ভোট দিতে হলে সর্বপ্রথম ভোটার হতে হবে। ভোটার না যারা, আমি দেখেছি আপনাদের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব এসছে। প্রস্তাবগুলো ভবিষ্যতে আমাদের আলোচনা করে দেখতে হবে, কোনো সমাধান বের করা যায় কিনা, তবে বর্তমানে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে পারবেন না।

মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, নেক্সট হচ্ছে, আপনার সিভি রেজিস্ট্রেশন, দেশের বাইরে থেকে ভোট দেওয়ার জন্য আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং রেজিস্ট্রেশন, আমরা এটার একটা অ্যাপ ডেভেলপ করছি এবং ইনশাআল্লাহ এই অ্যাপটা লঞ্চ হবে নভেম্বরের থার্ড উইকে। অ্যাপটা লঞ্চ হবে এবং তখন থেকে আমরা আগের থেকে সার্কুলার দিয়ে প্রচারণার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় হোক আমাদের ন্যাশনাল মিডিয়ায় হোক আমরা জানিয়ে দিব যে, পৃথিবীর কোন অঞ্চল থেকে কবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন ভোটাররা। সাধারণভাবে আমরা সাত থেকে ১০ দিন সময় প্রত্যেক রিজিয়নকে দিব এবং সবশেষে আমরা চেষ্টা করব আরও তিন থেকে সাত দিন সময় রাখার, যাতে করে বাদ পড়া প্রবাসীরাও নিবন্ধন করতে পারেন।

নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, নিবন্ধনের পরও আমাদের মতো দেশগুলোতে ভোটার সংগ্রহের হার মাত্র ৩০ শতাংশের  নিচে। এই হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু আমরা জানি আমাদের দেশের প্রবাসী যারা আছেন তাদের মাঝে ভোটের আগ্রহ অন্যান্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশের লোকসংখ্যা কোনো কোনো হিসাব অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৫ মিলিয়ন। এত বড় সংখ্যক একটা জনগোষ্ঠীকে বাদ রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব না।  আমি মনে করি আমাদেরকে এটা শুরু করতে হবে। যে স্কেলেই হোক না কেন প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে হবে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ৩৬ জুলাই আমাদের জন্য যেসব সম্ভাবনা তৈরি করেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভোটাধিকার। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা রিসেন্টলি দেশেই ভোট নিয়ে কথা বলতে পারছিলাম না, প্রবাসী ভোট তো দূরের কথা। ৩৬ জুলাইয়ের কারণে আমাদের যেসব প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, যাদের অবদানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এবং কূটনৈতিকভাবে বিশ্বের বুকে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে, সেই প্রবাসীদের ন্যায্য দাবি ভোটাধিকার। এই দাবি বাস্তবায়নের সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। তাই তাদের দাবি পূরণ করতে চাই।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর  প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনটি কথা বলেছিলেন। তার মধ্যে প্রথমে তিনি বলেছিলেন যে, এবার আমরা প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই, তারপরে তিনি বলেছিলেন, এবার শুধু কথা নয়, শুধু প্রতিশ্রুতি নয় আমরা তা বাস্তবায়ন করতে চাই। আর তৃতীয় যে কথাটা বলেছিলেন, সেটার জন্য একটা কার্যকরী পদ্ধতি আমাদের বের করতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় সেই ডিসেম্বর মাস থেকে আমরা প্রবাসী ভোট নিয়ে কাজ শুরু করি। প্রবাসী ভোট বা আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং খুব একটা সহজ কাজ নয়। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের যেসব গবেষণাপত্র আছে সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বিশেষ করে আমাদের ৪৪টা মিশন অফিস থেকে তাদের মতামত গ্রহণ করি। এরপরে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা সম্পন্ন করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করি এবং পরবর্তীতে স্টেকহোল্ডার তথা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করি এবং আমাদের উপস্থাপনা তুলে ধরি।  বলা বাহুল্য যে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও প্রবাসী ভোট নিয়ে তাদের একটা প্রস্তাবনা দিয়েছিল। তাদের প্রস্তাবনায় ছিল দুটো পদ্ধতি। একটা ছিল আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট আরেকটা ছিল অনলাইন ভোটিং। এর মধ্য থেকে আমরা পোস্টাল ভোটিং বেছে নিয়েছি।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স