সারা দেশে পুরোদমে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির, রাজারবাগ কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও রমনা কালীমন্দিরসহ দেশের নানা পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে রঙের কাজ ও প্যান্ডেল সাজানোর প্রস্তুতি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় শুভ মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। মহালয়া উপলক্ষে সারা দেশের মন্দিরগুলোতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, চণ্ডীপাঠ, মঙ্গলঘট স্থাপন এবং শঙ্খ-ঢাকের ধ্বনিতে দেবীকে আহ্বান জানানো হবে।
রমনা কালীমন্দিরের পুরোহিত হরিচাঁদ চক্রবর্তী জানান, মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষ শুরু হলো। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী, এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবার রাজধানীতে ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় সারা দেশে প্রায় এক হাজার মণ্ডপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে পূজা ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইজিপি বাহারুল আলম জানান, পূজাকেন্দ্রিক পুলিশি নিরাপত্তা কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
তবে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নামের একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্ম দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ২৯টি জেলাকে ‘ঝুঁকিপ্রবণ’ এবং এর মধ্যে ৫টি জেলাকে ‘উচ্চঝুঁকির’ তালিকায় রেখেছে। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, দুর্গাপূজা বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রতিমা তৈরি ও নিরাপত্তা—সব দিকেই প্রস্তুতি চলছে, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করা হচ্ছে।
ঠিকানা/এনআই