শেষ ওভারে বাংলাদেশের ৫ রান প্রয়োজন জিততে। দাসুন শানাকার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান জাকের আলী। ম্যাচ হয়ে গেছে টাই, ৫ বলে তখন মাত্র ১ রানই চাই। পরের তিন বলে রান তো দূরে থাক, একে একে বিদায় নেন জাকের ও শেখ মেহেদি। উৎকণ্ঠার পারদ চূড়ায় তুলে পঞ্চম বলে সেই কাঙিক্ষত এক রান নেন নাসুম আহমেদ। তাতেই সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা গড়ে ওঠে সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে। ইনিংসের পঞ্চম বলেই নেই আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। ১৬৯ রানের লক্ষ্যে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান। ওই চাপের মধ্যে থেকেই কাউন্টার অ্যাটাককে নিজেদের পরিকল্পনা হিসেবে বেছে নেন সাইফ হাসান। তুলে নেন পূর্ণ সদস্যদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। ২৫ বলে ৪৩ রান করা সাইফের পরের ৭ রান করতে খেলতে হয় ১১ বল। ৩৬ বলে ফিফটি করেন তিনি ১ চার ও ৪ ছক্কায়। আউট হন ৪৫ বলে ৬১ রান করে।
বাংলাদেশের জার্সিতে নিজের ৫০তম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ফিল্ডিংয়ে দুবার ক্যাচ ছাড়েন তাওহীদ হৃদয়। সেই শাপ মোচন করে ফিফটি দিয়েই ম্যাচ নম্বর ফিফটি জয়ে উদযাপন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেরিয়েছেন হাজার রানের মাইলফলক। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ফিফটি করেছিলেন হৃদয়। মাঝে খরা চলে ব্যাটিংয়ে। আজও শুরুতে ছিলেন সাবধানী। এরপর ৩১ বলে ছোঁন পঞ্চাশ। ৩৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে আউট হন হৃদয়। এ ছাড়া ১৪৩ স্ট্রাইক রেটে ৩ চারে ১৬ বলে ২৩ রান করেন লিটন। শামীম অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৪ রান করে।
বাংলাদেশের সেরা বোলিং নৈপুণ্য মোস্তাফিজুর রহমানের। ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের কীর্তিতে সাকিব আল হাসানকে ছোঁন মোস্তাফিজ। দুজনেরই উইকেট সংখ্যা এখন ১৪৯। তবে সাকিবের ১২৯ ম্যাচ প্রয়োজন হলেও মোস্তাফিজ কীর্তি গড়েন ১১৭ ম্যাচেই। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাইফ হাসান।
ঠিকানা/এনআই