Thikana News
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি

রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ছবি সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উপ-উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দোতলায় একটি কক্ষে অবস্থান করছেন এবং ভবনের বারান্দা ও প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে প্রশাসন ভবন থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাসভবনে রওনা দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন।

এ সময় সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার ও শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভর নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী তার গাড়ি আটকে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ২০ মিনিট পরে উপ-উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই বাসভবনের দিকে রওনা দেন। তখন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তার পিছু নেন।

তিনি বাসভবনের ফটকে পৌঁছানোর আগের ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের ফটক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ফটকের অবস্থান ছাড়বেন না বলে জানান।

পরে বিকেল পৌনে ৪টায় উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক রওনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব অর্থাৎ জুবেরী ভবনের উদ্দেশে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তার পিছু নেন এবং তার আগেই জুবেরী ভবনের ফটকে অবস্থান নেন। ২০ মিনিটের অপেক্ষা শেষে উপ-উপাচার্য প্যারিস রোডের দিকে হাঁটা শুরু করে কিছুদূর এগোলে শিক্ষার্থীরা আবারও স্লোগান দিয়ে তার পিছু নেন। পরে সেখানে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে যোগ দেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক খলিলুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

তখন তারা আবারও জুবেরী ভবনে ফেরত আসেন। বেলা সোয়া ৪টায় ভবনের ফটকে এসে শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা হাত প্রসারিত করে তাদের বাধা দেন। তখন শিক্ষক-কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার একপর্যায়ে জুবেরী ভবনের পশ্চিম ব্লকের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে যান উপ-উপাচার্য। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময়েও তিনি এক শিক্ষার্থীর গলা টিপে ধরেন এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতেই ফেলে দোতলার একটি কক্ষে অবস্থান নেন উপ-উপাচার্য। এরপর উপ-উপাচার্য ওই কক্ষে অবস্থান করেন এবং শিক্ষার্থীরা ভবনের ব্লকে এবং প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের সঙ্গে সংহতি জানান বামপন্থী ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় প্রশাসন ভবনে উপ-উপাচার্যের গাড়ি আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি হেঁটে বাসায় যেতে থাকেন। তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। পরে পাশেই জুবেরী ভবনে আলোচনার জন্য চেয়েছিলেন। জুবেরী ভবনে প্রবেশ করার সময় সামনে এসে শিক্ষার্থীরা দাঁড়ান। তখন একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। কে কীভাবে শুরু করে জানি না।’

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স