Thikana News
২৮ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫


ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো

‘আবেগ’ থেকে নাহিদের ‘অমূলক’ বক্তব্য: সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব

‘আবেগ’ থেকে নাহিদের ‘অমূলক’ বক্তব্য: সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব



 
সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরেও মাহফুজ আলমকে হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টের এই বক্তব্য ঠিক নয়, দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে তিনি বলেন, বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জুলাই আন্দোলনে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদের অন্যতম সহচর ছিলেন। তাই মাহফুজকে পতিত ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ যখন নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে আক্রমণের চেষ্টা করে, তাতে নিশ্চয়ই ব্যথিত হয়েছেন নাহিদ। আসলে সেই ‘আবেগের বহিঃপ্রকাশ’ ছিল তার ভাষ্যে। কিন্তু সরকারের প্রতি নাহিদের যে অভিযোগ, তা সম্পূর্ণ ‘অমূলক’।

“মাহফুজের বিরুদ্ধে আক্রমণের যে চেষ্টা, তার নিন্দা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে আমাদের মিশনগুলোর কৌশলের কারণেই কিন্তু কোনোবারই মাহফুজের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ফ্যাসিবাদিরা”, যোগ করেন ফয়েজ আহম্মদ।

১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এই টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উম্মে ওয়ারা। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) এই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। যেখানে দেশের রাজনীতি, কূটনীতি, রোহিঙ্গা শরণার্থী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি- এসব বিষয়ে আলোচনা করেন দুই অতিথি।

হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই সমন্বয়কদের নিরাপত্তায় বর্তমান সরকার হেলাফেলা করছে, তারা এক ধরনের বঞ্চনার স্বীকার- এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় নাহিদ ইসলামের সেই ফেসবুকে পোস্টে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের পর ছাত্রনেতারা বঞ্চনার শিকার, তারা কিছুই পায়নি- একথা মানতে নারাজ শিক্ষক ও গবেষক উম্মে ওয়ারা। তিনি বলেন, একটি কর্তৃত্ববাদি সরকারের পতনের দাবিতে জুলাই আন্দোলনে অনেকে একতাবদ্ধ হয়েছিল। লক্ষ্য যখন পূরণ হয়ে গেল তখন আবার সবাই যার যার আদর্শের জায়গায় চলে যাবে, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে আন্দোলনের সামনে থাকা ছাত্রনেতারা দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন। তাদের কেউ কেউ সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন। সমন্বয়কদের বড় অংশটি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এগুলো তাদের প্রাপ্তি বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার রাতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আগের বছর তার বহরে রাজনৈতিক কোনো নেতা ছিলেন না। কিন্তু এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির চার শীর্ষস্থানীয় নেতা। এর কারণ জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে জাতিসংঘ অধিবেশনে এটাই তাদের সবশেষ অংশগ্রহণ। কিন্তু কূটনীতি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। পরের বছর যাতে নির্বাচিত সরকার সে সম্পর্কে অবগত থাকে, তাই রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর যেসব দল থাকলে জুলাই মিত্র সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়, সেভাবেই তিনটি দল নির্ধারণ করা হয়েছে, দাবি করেন তিনি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রমে অনেক মনযোগী। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেভাবে সাফল্য দেখাতে পারেনি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উম্মে ওয়ারা। তিনি বলেন, কথিত তৌহিদি জনতা ও মব নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। গত এক বছরে দেড় শতাধিক মাজারে হামলা হয়েছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা দেখা যাচ্ছে। নদীতে লাশ ভাসতে দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিরাপত্তা প্রশাসনের। কিন্তু সবমিলিয়ে সরকার পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামাল দিতে পারছে না, অভিযোগ করেন তিনি।

ঠিকানা/এএস

কমেন্ট বক্স