বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওরা ভোট করতে আসে না, ভোট চায় না... ভোট পায় না। এরা লুটেরাজ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস। তারা মানুষের শান্তি ও সম্পদ কেড়ে নেয়। মানুষের ঘর কেড়ে নিয়ে পুকুর কাটে, আবার কলাগাছও লাগায়... সেটিও আমরা দেখেছি। বিএনপি সন্ত্রাসী-জঙ্গিতে বিশ্বাসী। এরা মানুষের কল্যাণ করতে পারে না।
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ ও আমাদের মহাজোটকে ভোট দিল। বিএনপি কটি ভোট পেয়েছিল তখন? কটি সিট পেয়েছিল? ৩০০ সিটের মধ্যে বিএনপির ২০ দলীয় জোট ২৯টি, পরে আরেকটি মিলিয়ে মোট ৩০টি সিট পেয়েছিল। একটা কথা জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী যে যেখানে আছেন তা জনগণকে মনে করে দেবেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা (বিএনপি) হেয়প্রতিপন্ন করে, নির্বাচনে তো তাদের আসার কথা না, তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলতে চায়। কারণ তাদের জন্ম হয়েছে অবৈধ ক্ষমতার দখলকারীর হাতে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এখন তারা নাকি আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। তাদের জন্ম মিলিটারি ডিরেক্টরের হাতে, মার্শাল ল’য়ের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করেছে, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের কোনো দিন কল্যাণ চাইতে পারে না। তারা এই দেশকে ধ্বংস করতে চায়। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন এ দেশের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটে।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি ব্যাংকের এমডির ব্যাপারে বারবার আমাদের ওপর চাপ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক আর একটি বড় দেশ। ইউনূসের কথা শুনে হিলারি ক্লিনটন বিশ্বব্যাংককে বলে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। আইনে আছে ব্যাংকের এমডি থাকতে পারবে সাত বছর, তিনি তো বেআইনিভাবে ১০ বছর ছিলেন। আমাদের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে, সেই ভদ্রলোক মামলাও করেছিলেন। ব্যাংকের এমডি পদে ৬০ বছর থাকতে পারবেন, তার বয়স ৭০ এর উপরে। আদালত তো বয়স কমাতে পারে না। পরে তিনি মামলায় হেরে যান।
ছাত্রলীগকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো সব সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতিতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। অতন্দ্র প্রহরীর মতো ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে। দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জ্ঞানভিত্তিক দেশ। ছাত্রলীগকে স্মার্ট বাংলাদেশের কান্ডারি হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
ঠিকানা/এনআই