মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শিকার রুশ কোম্পানি আলরোসার সঙ্গে লেনদেন ও সম্পর্ক থাকার অভিযোগে হীরা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দুই ভারতীয় কোম্পানির আর্থিক সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের (অর্থ মন্ত্রণালয়) অফিস অব ফরেইন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওফ্যাক) এই অর্থ জব্দ করেছে। ট্রেজারি বিভাগের এই শাখা মূলত নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ, তহবিল ও ব্যাংক হিসাব জব্দ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো দেখভাল করে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ৩টি উচ্চপর্যায়ের সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করে বলেছে, জব্দকৃত অর্থ ছাড়ে ইতোমধ্যে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুই ভারতীয় কোম্পানির নাম জানাতে চায়নি সূত্র।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আলরোসা কর্তৃপক্ষকে ইমেইল করেছিল রয়টার্স। তবে সেই মেইলেরও কোনো জবাব আসেনি।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার কোম্পানির সঙ্গে সংযোগের অভিযোগে এই প্রথম কোনো ভারতীয় কোম্পানির সম্পদ জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ভারতের সরকার ওফ্যাকের পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন এবং তাদের জব্দ আদেশ প্রত্যাহারের জন্য ইতোমধ্যে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু এখানে মূল সমস্যা হলো আলরোসার সঙ্গে ওই কোম্পানি দু’টির সন্দেহজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক।’
‘অবশ্য ভারতীয় কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, যখন আলরোসার সঙ্গে তাদের লেনদেন হয়েছিল— সে সময় ওই কোম্পানিটির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না,’ রয়টার্সকে বলেন ওই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিলে আলরোসা’র ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওফ্যাক।
আলরোসা রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এবং বিশ্বের বৃহত্তম অমসৃন হীরা উৎপাদন ও রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ভারতের হীরা কাটা ও পালিশ শিল্প এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম। গত ২০২২-’২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের মসৃন হীরা রপ্তানি করেছে ভারত। দেশটির হীরা কর্তন ও পালিশের কারখানাগুলো অধিকাংশই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে অবস্থিত।
এসব কারখানার কাঁচামাল, অর্থাৎ অমসৃন হীরা মূলত আমদানি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলজিয়াম ও রাশিয়া থেকে।
ঠিকানা/এসআর