অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ২ ওভারে ১১ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। আর সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেন নতুন ইতিহাস, বিশ্বের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছুঁলেন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক। তাই নয়, ৪৫৭ ম্যাচ ও ৪১৯ ইনিংসে ৫০০ উইকেট নেওয়া একমাত্র অলরাউন্ডার তিনি, যিনি একই সঙ্গে ব্যাট হাতে রান আর বল হাতে সাফল্যে ক্রিকেটের প্রতিটি পাতায় ছাপ রেখে গেছেন।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে আছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান—৪৮৩ ইনিংসে তার শিকার ৬৬০ উইকেট। এরপর ডোয়াইন ব্রাভো (৫৪৬ ইনিংসে ৬৩১), সুনিল নারাইন (৫৪৭ ইনিংসে ৫৯০) এবং ইমরান তাহির (৪১৯ ইনিংসে ৫৫৪)। সাকিব এখন অভিজাত এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ৫০২ উইকেট নিয়ে।
আক্রমণে এসেই প্রায় উইকেট পেতে যাচ্ছিলেন তিনি। রিজওয়ানের ওড়ানো শট সীমানার দড়িতে ফিল্ডারের পা ছুঁয়ে ছক্কায় রূপ নেয়। তবে একই ওভারের শেষ বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রিজওয়ান। সেটিই হয়ে যায় সাকিবের ৫০০তম উইকেট। পরের ওভারে কাইল মেয়ার্স ও নাভিন বিদাইসিকে ফেরান তিনি।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে প্যাট্রিয়টস। সাকিবের সঙ্গে উইকেট ভাগ করে নেন জেডন সিলস, সালমান ইরশাদ ও শামার স্প্রিঙ্গার।
জবাবে ব্যাট হাতে নেমে জয় নিশ্চিত করেন সাকিবের দল ফ্যালকনস ব্যাটাররা। কারিমা গোর খেলেন ৫২ রানের শান্ত ইনিংস, আর সাকিব ১৮ বলে ২৫ রান করে দলের রানের গতি বাড়ান। তার ইনিংসে ছিল এক চার ও দুই ছক্কার মার।
১৯.৪ ওভারেই ১৩৭ রান তুলে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ফ্যালকনস। ওপেনার জুয়েল অ্যান্ড্রু (২৮) ও রহকিম কর্নওয়াল (১৬) দলের জন্য কার্যকর অবদান রাখেন।
৩৮ বছর বয়সে এমন মাইলফলক ছুঁয়ে গেলেও সাকিব যেন নির্লিপ্ত। মাঠে তার চোখে-মুখে আগের মতো আবেগ বা উদযাপন নেই। হয়তো সময়, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা তাকে অন্য রকম করে তুলেছে।ঠিকানা/এনআই