Thikana News
২১ অগাস্ট ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে : জয় 

আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে : জয়  ছবি : সংগৃহীত
সামাজিক মাধ্যমে বেশ সরব অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে কোনো না কোনো বিষয়ে নিয়মিত লিখে যান তিনি। এবার লিখলেন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে।

জয়ের দাবি- আসছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলে সেটি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

২০ আগস্ট (বুধবার) ফেসবুকে জয় লিখেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখলাম ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে ভদ্রলোকরা দুর্দান্ত পছন্দ করছেন। বিএনপিকে আগামীতে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে ইলেকশন চাচ্ছেন না। তাদের বক্তব্য আওয়ামী লীগের যতই দোষ থাকুক একটা বিশাল শ্রেণির জনগণ আওয়ামী লীগের সাপোর্টার। তাদের বাদ রেখে ইলেকশন করলে সেই ইলেকশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসবে এবং ভবিষ্যতে বিভক্তি আরও বেশি তৈরি হবে।’

এরপর জয়ের কথা, ‘এনসিপি এবং জামায়াতকে অন্তত ১০০ আসনে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখতে চাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রবাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের ভাষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ইউনূস সরকারের হলেও একটি উল্লেখযোগ্য জনগণ ইউনূস সরকারকে সাপোর্ট করছেন না, যে কারণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এক্ষেত্রে তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও সময় দিতে চাচ্ছেন।’

জয় আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তারা কিছুটা কনফিউজড। এনসিপির প্রতি মানুষের অনেক বেশি মমতা। কারণ এত বড় একটি ঘটনা ফ্রন্টলাইনে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের দলে এনসিপি। তাদের সঠিক মূল্যায়ন হোক এটা অনেকেই চাচ্ছে। আবার অনেকেই এর ঘোর বিরোধী। তাদের কার্যকলাপ এবং কথা বলার ধরনের কারণে অনেকে বিরক্ত। শুধু আওয়ামী লীগ বিরোধী ক্যাম্পেইন করে সংসদ সদস্য হওয়া কঠিন একথা অনেকে বলছে।’

বিএনপি কর্মীদের কার্যকলাপে অনেকেই অতিষ্ঠ সেকথা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘অন্যদিকে জামায়াতের ভূমিকাকে অনেকেই প্রশংসা করছে তাদের কথা এবং কার্যকলাপ প্রশংসিত হচ্ছে। শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয়ে তাদের ব্যাপারে একটা বিশাল কনফিউশন রয়ে গেছে। সেটার ফলাফল কী হয় বোঝা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বক্তব্যে সকলে সন্তুষ্ট। কিন্তু বিএনপির কর্মীদের কার্যকলাপে অনেকে অতিষ্ঠ। এখানে একটি বড় গ্যাপ রয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে তারেক রহমান সাহেব বলছেন প্রতিশোধ নয় প্রতিরোধ নয় সেখানে তাদের কর্মীরা প্রতিশোধ এবং প্রতিরোধের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। এটা হাই কমান্ডের নীতির বহির্ভূত। এই অতি উৎসাহিত কর্মীদের থামানোর কোনো রাস্তাও আর জানা নাই। ইলেকশনের পূর্বেই যদি হাই কমান্ডকে তারা ইগনোর করে ইলেকশনে জিতলে তাদের ভূমিকা কী হবে সেটা অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।’

সবশেষে জয় লিখেছেন, ‘এই লেখাটা সামগ্রিকভাবে আমার বিশ্লেষণ। আমি একটা বোকা লোক এবং মূর্খ লোক। আমার বিশ্লেষণকে সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নাই। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার গণতান্ত্রিক অধিকার আমি এই লেখার মাধ্যমে প্রয়োগ করলাম। কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চাই। তবে আমার লেখা থেকে হয়তো যারা বুদ্ধিমান তারা ভালো অংশটুকু গ্রহণ করে এটাকে কাজে লাগিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।’

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স