Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কোচ হাসপাতালে

আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কোচ হাসপাতালে ছবি সংগৃহীত


নিজ বাসায় পড়ে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি। যদিও তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কেউ বলছে জীবন-মৃত্যুর সন্ধীক্ষণে দাঁড়িয়ে তিনি। আবার কেউ বলছে ‘অতটা গুরুতর’ নয়।

আর্জেন্টনার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তেলাম তার স্বজনদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাসায় পড়ে গিয়ে মেনোত্তির শরীরে ইন্টারনাল ব্লিডিং বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। সে কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সূত্র তেলামকে জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর ৮৫ বছরে পা রাখতে যাওয়া মেনোত্তির সেরে উঠতে কত দিন লাগবে, সেটি তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছে।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’ জানিয়েছে, মেনোত্তির শারীরিক অবস্থা যতটা খারাপ ভাবা হয়েছিল, ততটা নয়। মঙ্গলবার বা বুধবার বুয়েনস এইরেসের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন আর্জেন্টাইন ফুটবলে ‘এল ফ্লাকো’ (ছিপছিপে) নামে পরিচিত এই কোচ।

ইএসপিএন স্পেন ও ইএসপিএন মেক্সিকোর খ্যাতিমান সংবাদকর্মী হোসে র‌্যামন ফার্নান্দেজ গত রোববার জানিয়েছিলেন, নিজ বাসায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। মেনোত্তির শারীরিক অবস্থা ‘বেশ খারাপ’ বলে জানিয়েছিলেন ফার্নান্দেজ। তার বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাও জানিয়েছিল, কিংবদন্তি এ কোচের জীবন নিয়ে শঙ্কা আছে।

তবে মেনোত্তির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের উদ্ধৃতি প্রকাশ করে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম মুন্দো দ্য জানিয়েছে, ‘এটা সামান্য শঙ্কা। প্রত্যাশামতোই ধকল কাটিয়ে উঠেছে। সে কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করা। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

বোকা জুনিয়র্সের হয়ে আর্জেন্টিনার লিগ জেতা ও সান্তোসে পেলের সতীর্থ হিসেবে খেলা মেনোত্তি কোচিংয়ে নেমে কিংবদন্তি হয়েছেন। ১৯৭৩ সালে রেনে হাউসমান, কার্লোস বেবিংটন, মিগুয়েল ব্রিনদেসি ও ওমর লারোসাদের নিয়ে কিংবদন্তি দল গড়ে উরাকানকে আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগ জিতিয়েছেন। মেনোত্তির সেই দল আর্জেন্টাইন ফুটবলে খেলার ধারা পাল্টে দিয়েছিল। ১৯৭৪ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে কোচের দায়িত্ব নেন মেনোত্তি। চার বছর পর আর্জেন্টিনাকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতানো তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারে সেরা সাফল্য।

সেই ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে ১৮ বছর বয়সী ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে দলে না নেওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন মেনোত্তি। উত্তরে বলেছিলেন, পরের বছর জাপানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের জন্য তার সতেজ ম্যারাডোনাকে চাই। মেনোত্তি কথা রেখেছিলেন। তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা আর সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন ম্যারাডোনা।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স