Thikana News
০৮ অগাস্ট ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

নিউইয়র্কে একান্তে সময়  কাটাচ্ছেন শাকিব-বুবলী

নিউইয়র্কে একান্তে সময়  কাটাচ্ছেন শাকিব-বুবলী
নিউইয়র্কে এসে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বিভিন্ন স্থানে তাদের সন্তান বীরকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে রুজভেল্ট আইল্যান্ডে তাদের একান্তে সময় কাটানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর এসব ছবি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে নানান কথা। শাকিব ভক্তরা করছেন প্রশংসা আর ‘হিংসুটেরা’ জ্বলেপুড়ে ছারখার। 
শাকিব-বুবলীর ঘরে জন্ম নেওয়া বীর জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। মূলত তাকে সময় দিতেই নিউইয়র্কে এসেছেন শাকিব খান। চিত্রনায়ক শাকিব খানও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী। তাকেও প্রতি ছয় মাসে একবার যুক্তরাষ্ট্রে আসতে হয়। এর আগে শাকিব খান নিউইয়র্কে একান্তে সময় কাটিয়েছেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও ছেলে আব্রাহাম জয়ের সঙ্গে। তখনও একইভাবে ছবি ভেসে বেড়ায় সোস্যাল মিডিয়ায়। 
নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী - দুজনই এখন নায়ক শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী। তবু এই সিঙ্গেল তারকা মায়েদের নিয়ে ভক্তদের কথার যেন শেষ নেই। এর কারণ, কথা বলার মতো পরিস্থিতি এই দুই নায়িকাই তৈরি করেন। কেউ একজন শাকিবকে নিয়ে কিছু পোস্ট দিলেই পাল্টা পোস্ট দেন আরেকজন। তবে এবার ঘটল ভিন্ন ঘটনা। পরপর শাকিব খানকে নিয়ে বুবলী দুটি ঘটনার জন্ম দিলেও একেবারেই নীরব ছিলেন অপু বিশ্বাস। নিজের মতো করে থাকার চেষ্টা করলেও এই নায়িকাকে একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ভক্তদের খোঁচা সহ্য করতে হচ্ছে।
দুই নায়িকার ভার্চুয়াল যুদ্ধের যেন শেষ নেই। অপু বিশ্বাস ও বুবলী- উভয়েই হুটহাট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন। কখনো অপু বিশ্বাস ইঙ্গিতে শবনম বুবলীকে খোঁচা মারেন। আবার শবনম বুবলীও কম যান না, তিনিও বিভিন্ন সময় কৌশলে অপু বিশ্বাসকে খোঁচা মারেন। এ নিয়ে প্রায়ই তারা খবরের শিরোনাম হতেন। এসব নিয়ে সম্প্রতি অনেকটাই চুপ রয়েছেন অপু বিশ্বাস। আবার তাঁর উদ্দেশেও শবনম বুবলীকে তেমন কিছু লিখতে দেখা যায় না।
এরই মধ্যে শাকিবকে ঘিরে বুবলী সম্প্রতি দুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। গত ২৫ জুলাই শাকিব-বুবলী খবরের শিরোনাম হন। একাধিক গণমাধ্যমে খবর হয়, এবার একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটাবেন শাকিব ও সন্তান শেহজাদ খান বীর। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন বুবলীও।
এ ঘটনা নিয়ে কোনো কথাই বলেননি অপু বিশ্বাস। সেদিন প্রতারিত এক গরু ব্যবসায়ীকে ওমরাহ হজে পাঠানোর খবর ফেসবুকে পোস্ট করেন এই নায়িকা। অপু চুপ থাকলেও ভক্তরা সে পোস্টেই নানা রকম মন্তব্য করেন। সোনিয়া নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘অপু আপা, আপনাকে বলব, এ রকম বাবা থাকার চাইতে সন্তানের বাবা না থাকাই ভালো। আপনি সম্মান নিয়ে বাঁচুন, এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। একদম ভুলে যান সব স্মৃতি, সব ভালোবাসা। যারা আপনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে নানান কথা বলছে, তারা একবার এত জায়গাটায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেখুন তো, সবকিছু মেনে নেওয়া কি এতটাই সহজ!’ জান্নাত নামের একজন লিখেছেন, ‘ওদিকে বুবলী ছড়াচ্ছে, সে নাকি শাকিবের সঙ্গে আমেরিকা যাচ্ছে। কতটা সত্য, আপনার জায়গা থেকে ক্লিয়ার করেন।’
এরপরও অপুর চুপ থাকায় ভক্তরা হতাশ হন। অনেকেই মন্তব্যে এটাও বলেছেন, অপু চুপ থাকার কারণ তিনি নিজেও শিগগিরই শাকিবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানসহ যাবেন। এসব কোনো কিছু নিয়েই মুখ খোলেননি অপু।
বুবলী পোস্ট করেন বীর, শাকিবসহ একগুচ্ছ ছবি। কোনো ছবিতে এই সাবেক দম্পতি হাত ধরে হেঁটে যাওয়ার ভঙ্গিতে দেখা যায়। তাঁদের হাসিখুশি ছবিটিতে সাড়ে তিন লাখের মতো প্রতিক্রিয়া এসেছে। ৬৮ হাজার মন্তব্য। ৮ হাজারের বেশি দর্শক ছবিটি শেয়ার করেছেন। বুবলী ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। তখনো চুপ ছিলেন অপু বিশ্বাস।
নীরব অপু ফেসবুকে একটি সেলুনের প্রচারণা করেছেন। অপুর এই স্ট্যাটাসে এটাই বোঝা যায়, তিনি হয়তো আর ভার্চুয়াল যুদ্ধে যেতে চান না। নিজের কাজ নিয়েই থাকতে চান। তারপরও এমন স্ট্যাটাসে একাধিক ভক্ত অপু বিশ্বাসকে খোঁচা মেরে মন্তব্য করেছেন।
মনিরা নামের একজন লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করেন, কালকে বুবলীর পোস্ট দেখে আমি কান্না করেছি, সবকিছু পেছনে ফেলে এগিয়ে যান। মানুষ অতীতে বাঁচে না, বাঁচে বর্তমানে।’ রোবেনা কাজী লিখেছেন, ‘অপুর উচিত শাকিবকে মন থেকে মুছে ফেলা।’
অনেকই অপু বিশ্বাসের চুপ থাকাকে সমর্থন করছেন। এটাকেই অপুর বুদ্ধিদীপ্ত পথ বলছেন ভক্তরা। তাবাসসুম আক্তার লিখেছেন, ‘সঠিক সময় সঠিক প্রচার। অথচ অনেকেই অপেক্ষায় ছিল আপনার কাউন্টার পোস্টের। তাদের চোখ ছিল আপনার ফেসবুক পোস্টের দিকে। এই সুযোগে আপনি আপনার বিজনেস প্রচারটা করে নিলেন, এই প্রথম আপনাকে বুদ্ধিমানের মতো কাজ করতে দেখলাম। আজীবন বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।’
আর্জিনা খাতুন লিখেছেন, ‘অপু বিশ্বাস একজন সাহসী ও সফল নারী। যদি তিনি ভাঙতেন, অনেক আগেই ভেঙে যেতেন। কিন্তু তিনি সহজে ভাঙেন না। কারণ, তিনি নিজের সাহসে তৈরি।’
এদিকে গতকাল সন্ধ্যার পর অপু বিশ্বাস একটি সাক্ষাৎকারে বুবলী প্রসঙ্গে কথা বলেন। বুবলীকে ঘিরে এক প্রশ্নে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘যার নাম বললেন, তিনি একজন প্রফেশনাল আর্টিস্ট। ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরেও আমাদের আরও সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সবাই কিন্তু প্রফেশনাল আর্টিস্ট। তাই সে হিসেবে বলতে পারেন আমি সবাইকেই সম্মান করি।’
শাকিব খান ও শবনম বুবলীর যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো মুহূর্তের ছবি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। নিজের অনুভূতি তুলে ধরে এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি শাকিব, বুবলী ও তাঁদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
এতে চয়নিকা বলেন, ‘শাকিব খান, শবনম বুবলী, শেহজাদ খান বীর, অনেক অনেক অভিনন্দন। এই বন্ধু দিবসে এই ছবিগুলো দেখে আনন্দে চোখে জল এলো।
কী যে ভালো লাগল।’
তিনি আরো লেখেন, ‘কিছু সম্পর্কের টান এমনই হয়- সময়, দূরত্ব, নীরবতা কিছুই তা থামিয়ে রাখতে পারে না। তারা হয়তো দুইটা মুখ, কিন্তু গল্পটা সবসময় একটাই ছিল- তারা দুজনেই শেহজাদ খান বীরের মা এবং বাবা। এটাই বড় সত্য আর সুন্দর।
চয়নিকা বলেন, শাকিব-বুবলীর সম্পর্ক নতুনভাবে ফিরে আসেনি, বরং এটি আরো বেশি শান্ত, পরিণত ও আপন হয়ে উঠেছে। তার ভাষায়, কখনো কখনো জীবনে ফিরে আসাটাই সবচেয়ে সাহসী কাজ। আর একবার যখন দুইটি আত্মা একসঙ্গে মিশে যায়, তখন সেটাকে আর ‘ফিরে আসা’ বলা যায় না—টা হয় চিরস্থায়ী হয়ে ওঠা। ভালোবাসার মেলবন্ধন।
এই নির্মাতা বলেন, শুভকামনা তোমাদের জন্য - স্পেশালি আমাদের বীরের জন্য। একজন বাবা এবং তার মা মিলে তাকে অনেক সুন্দর স্মৃতি দিলেন। জীবনটা তো অনেক অনিশ্চিত। তাই এই ভালো লাগা থেকে যাবে ছোট্ট বীরের মনের গহিনে।
চয়নিকা মনে করছেন শাকিব-বুবলী এক হয়ে গেছেন।
এমনটাই জানিয়ে লিখেছেন, এবার আর কোনো রেখা নয়, শুধু অনন্ত মেলবন্ধন। অনেক অনেক অভিনন্দন তোমাদের। অনেক প্রার্থনা। সদা থাকো আনন্দে, সংসারে, নির্ভয়ে।
চয়নিকার এমন পোস্টে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন বুবলী। তিনিও চয়নিকার পোস্টে মন্তব্য করেছেন। কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘আপুনি, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তুমি এত সুন্দর করে লিখো কিভাবে? অনেক ভালোবাসার একজন মানুষ আপনি। সব সময় দোয়া ও ভালোবাসা।’

কমেন্ট বক্স