Thikana News
২১ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করতে চায় : প্রণয় ভার্মা

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করতে চায় : প্রণয় ভার্মা ছবি : সংগৃহীত
‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পূরক অর্থনীতির প্রয়োজন রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশকে ট্রেড, ট্রানজিট এবং ট্যুরিজমের ওপর জোড় দিতে হবে। মাল্টিলেবেল কানিক্টিভিটির ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। ২৬ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ ও উন্নয়ন সমন্বয়’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রাম এগিয়ে গেলে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করতে চায়।

সেমিনারে ড. আতিউর রহমান বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহগুলো সম্পন্ন হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম। তবে শুধু প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই হবে না তা সমন্বয় করতে হবে। এই সমন্বয়ের জন্য কো-অর্ডিনেটিং টাস্কফোর্স করা যায় কি-না সেটা ভেবে দেখা দরকার। অংশগ্রহনমূলক কার্যক্রম দরকার। ফরোয়ার্ড এবং ব্যাংকওয়ার্ড লিংকেজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটিল অবকাঠামো গড়ে তুলছে। কিন্তু ভারত এর চেয়ে আরও বেশি সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল অবকাঠামো সমৃদ্ধ করেছে। ভারতের মতো আমাদেরও ডিজিটাল অবকাঠামো গড়তে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সিংক্রোনাইজড করতে হবে। চট্টগ্রাম আমাদের ইঞ্জিনের মতো। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর অর্থনীতিতে অবদান রাখার সক্ষমতা রাখে। চট্টগ্রাম ঘিরে অনেক মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, এগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা দরকার। কোনো রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়া, এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে চট্টগ্রামের চেহারা বদলে যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার হাব হয়ে উঠবে। আমি মনে করে সমন্বয়ের জন্য একটি টাস্কফোর্স থাকলে ভালো। যেখানে মাল্টি স্টেকহোল্ডারের অংশগ্রহণ থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান গালফটেইনারের প্রতিনিধি জিনা সুজিত, সমুদ্র যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. আলমগীর আক্তার সর্দার, ইশাত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল হাসান সোহেল, এমকে শিপিং লাইনস এর কর্ণধার মাসুম খান, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশগুপ্ত প্রমুখ। সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান তারিকুল ইসলাম জুয়েল। 



ঠিকানা/এম

কমেন্ট বক্স