মেজর লিগ সকারে শনিবার ইন্টার মিয়ামি মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষ দল এফসি সিনসিনাটির সঙ্গে। তবে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়। এই ম্যাচে ছিলেন না লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবা।
এই দুজনকেই মাঠের বাইরে বসে দেখতে হয়েছে ম্যাচ, কারণ তারা এমএলএস অল-স্টার গেমে না খেলায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। টেক্সাসে হওয়া সেই অল-স্টার গেমে আগেই ডাক পেয়েছিলেন তারা, কিন্তু সে ম্যাচে না খেলার জন্য অনুমতি নেননি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ঘরোয়া লিগে পরের ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তারা।
ফোর্ট লডারডেলের মাঠে মেসি-আলবার অনুপস্থিতিতে গোলের দেখা পায়নি ইন্টার মিয়ামি। অন্যদিকে, সিনসিনাটি রক্ষণেও ছিল গোছানো। তবে যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেও হতাশ হন সিনসিনাটির ডিফেন্ডার মাইলস রবিনসন।
তিনি হেড করতে গিয়ে ইন্টার মিয়ামির নোয়া অ্যালেনকে ফাউল করেছেন বলে রেফারি গোল বাতিল করেন। সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত হলেও ইন্টার মিয়ামি বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায়।
এই ড্রয়ের ফলে ইস্টার্ন কনফারেন্সে এখনো ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে রইল ইন্টার মিয়ামি। শীর্ষে থাকা সিনসিনাটিকে ধরার সুযোগ হাতছাড়া করল তারা।
তবে ম্যাচের আগে ছিল আরেকটি বড় ঘোষণা। নতুন তারকা রদ্রিগো দে পলকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইন্টার মিয়ামি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার এসেছেন স্পেনের আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে।
রদ্রিগো দে পল বলেন, ‘আমাকে ইন্টার মিয়ামিতে টেনেছে লড়াই করার ইচ্ছা, শিরোপা জয়ের আকাঙ্ক্ষা এবং ক্লাবের ইতিহাসে নিজের নাম লেখানোর স্বপ্ন। এই ক্লাবটি দ্রুত বড় হয়ে উঠছে। দীর্ঘ ইতিহাস গড়বে। অনেক মানুষ এই অসাধারণ দলকে অনুসরণ করবে।’
ক্লাবের সহ-মালিক ডেভিড বেকহ্যাম বলেন, ‘রদ্রিগো অভিজ্ঞতা, আবেগ ও মান নিয়ে আসবে। আমি বহু বছর ধরেই ওকে অনুসরণ করছি। একজন নেতা হিসেবে ও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলসহ সব দলেই বড় ভূমিকা রেখেছে।’
বেকহ্যাম আরও বলেন, ‘আরেকজন বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়কে শুধু ইন্টার মিয়ামিতেই নয়, বরং এমএলএস-এ স্বাগত জানাতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত।’
ঠিকানা/এএস