বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি ফুঁসে উঠেছে। অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া উচ্চ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বেশ কিছু অংশ। সেই সঙ্গে সামুদ্রিক জোয়ারের পানির তোড়ে কক্সবাজার-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের কিয়দংশ হয়ে পড়েছে ক্ষতবিক্ষত। সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে রয়েছে। সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে নৌ যোগাযোগ।
শুক্রবার থেকে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। উচ্চ জোয়ারের পানিতে ইতিমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলার জোয়ারের পানি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দিকে কোনার পাড়া ও গলাছিরা দিয়ে ঢুকে দ্বীপের পূর্ব দিকে বেরিয়ে পড়েছে। গত চার দিন ধরে দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফের নৌ যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার কয়েকটি অংশে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস গত তিন দিন আগে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করে। এরই মধ্যে সাগরে সৃষ্টি হয় একটি নিম্নচাপ।
সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে সাগরের উন্মত্ততাও। এ ছাড়া সাগর দ্বীপ কুতুবদিয়ার পশ্চিম ও উত্তরের ব্যাপক এলাকাসহ মহেশখালীর ধলঘাট ইউনিয়নের গভীর সমুদ্রবন্দর-সংলগ্ন এলাকা জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
ঠিকানা/এনআই