যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লায়ন্স জানিয়েছেন, যারা অবৈধ অভিবাসী নিয়োগ দেয়, এমন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন, তা তিনি অপরাধী হোন বা না হোন, তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
২০ জুলাই সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন কর্মক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগে অব্যাহতভাবে অভিযান চালাবে। এই ধরণের কার্যক্রমে কোনও নির্বাহী আদেশ দ্বারা নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
লায়ন্স বলেন, কিছু কোম্পানি শিশু শ্রম ব্যবহার করছে এবং মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত, যা মোটেও ‘ভিকটিমহীন অপরাধ’ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু অবৈধভাবে কাজ করা ব্যক্তিদের উপরই নজর দিচ্ছি না, সেই সাথে আমেরিকান কোম্পানিগুলো যারা এই শ্রমিকদের শোষণ করছে, তাদেরও লক্ষ্য করছি। এই লোকগুলো ভালো জীবনের আশায় এসেছিল।’
লায়ন্স জানান, তাদের অগ্রাধিকার হবে যেসব অবৈধ অভিবাসী যারা গুরুতর অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও বিতাড়িত করা। তবে, দণ্ডিত না হলেও, যে কেউ অবৈধভাবে থাকলে তাকেও আইস’র লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ থাকলেও, আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এসব গ্রেফতার করছি, এবং এখানেই গ্রেফতারের হার বাড়ছে।’
সাক্ষাশকারে তিনি জানান, ‘যদি আমরা কাউকে পাই যে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তাহলে আমরা তাকে গ্রেফতার করব।’ মার্চে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হওয়ার পর এটি ছিল তার প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাশকার।
২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের গণবিতাড়ন হবে তার অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনিসহ ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, গণহারে অবৈধ অভিবাসন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় জন্মগত নাগরিকত্ব বাতিল, দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, এবং নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক গ্যাং ও মাদকচক্রকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা। এই আদেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিবাসী সংগঠন, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (অঈখট), এবং অন্যদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রশাসনের সীমান্ত বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টম হোম্যান বলেছেন, অগ্রাধিকার থাকবে অপরাধে জড়িত অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে দেওয়া। তবে অভিযান চলাকালীন অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীর গ্রেফতারও একটি ‘বাস্তবতা’ বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরু থেকেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, যারা আইসিই অভিযানে জড়াতে চান না, তারা কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের অ্যাপ ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে ১ হাজার ডলার বোনাস পাবেন এবং বৈধভাবে পুনরায় আসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লায়ন্স বলেন, ‘আইসিই সবসময় ভয়ংকর অপরাধীদের টার্গেট করে থাকে। তবে বর্তমান প্রশাসনের অধীনে আমরা পুরো ইমিগ্রেশন পোর্টফোলিও খুলে দিয়েছি।’
                           
                           
                            
                       
     
  
 

 ঠিকানা রিপোর্ট
 ঠিকানা রিপোর্ট  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
