Thikana News
০২ অগাস্ট ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না’

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না’ ছবি : সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না, জবাবদিহিতামূলক সরকার কায়েম হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ গঠন হবে। জবাবদিহিতার অভাবেই ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ক্ষমতার মেরুকরণ হ্রাস পাবে এবং সংলাপের সংস্কৃতি সৃষ্টি হবে। ২৬ জুলাই (শনিবার) বেলা ১১টায় খুলনার শিববাড়ী মোড়ে দলটির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করা, পতিত ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, বন্ধ মিল-কলকারখানা চালু ও ইসলামি সমাজ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগরের সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ মুফতি আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সহসভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব ও মহানগর সেক্রেটারি খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি ইমরান হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় চরমোনাইর পীর বলেন, ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনো দেশকে অনিরাপদ করে রেখেছে। পতিত স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করে সুযোগ নেওয়ার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায়, বক্তব্যে ও মন্তব্যে শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। কারণ কোনো অবস্থাতেই পতিত ফ্যাসিবাদকে কোনো সুযোগ করে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশ গঠনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন বলে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সেই সংস্কার হতে হবে রাষ্ট্রের কাঠামোতে, আইনে এবং রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে। রাষ্ট্রের কাঠামো ও আইনি সংস্কারের কাজ কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক চরিত্র ও সংস্কৃতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসে নাই।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে রাজনৈতিক হানাহানিতে নিহত-আহত মানুষের সংখ্যা শুনে আঁতকে উঠতে হয়। চাঁদাবাজি কোনো অর্থেই কমেনি। সন্ত্রাসও কমেনি। বরং রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যে বর্বরতায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে জনতা ফুঁসে উঠেছে স্বাভাবিক কারণেই। জনতার সেই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বর্বর সেই হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করে ফেলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে মানুষ এ ধরনের রাজনীতি দেখতে চায় না।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতি আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। কোরআনের আইন দিয়ে একটি ইনসাফ ভিত্তিক দেশ পরিচালনা যারা করতে চায় তারা, আর এর বিপক্ষে একটি গ্রুপ। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি সংস্কার নিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, যথেষ্ট সংস্কার ছাড়া এ দেশের মানুষ কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি করেন তিনি। চরমোনাই পীরের বিরুদ্ধে বিএনপির কটূক্তির সমালোচনা করে গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশে ইসলামি মূল্যবোধের প্রতীক যিনি তার বিরুদ্ধে কটূক্তি মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মুফতি মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শুয়াইব হোসেন ও খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স