মুক্তিযুদ্ধের ‘ওহিদুর বাহিনী’ অধিনায়ক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ওহিদুর রহমান মারা গেছেন। ২৬ জুলাই (শনিবার) সকাল ১০টায় আগারগাঁও জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওহিদুর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা হাসানুজ্জামান ভুলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বেশ কয়েক বছর যাবত বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন ওহিদুর রহমান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তার জানাজা আজ বাদ এশা নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে এবং আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টায় আত্রাই উপজেলার রসুলপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধে নওগাঁ, রাজশাহী ও নাটোরের বিস্তৃত এক অঞ্চলজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বিশাল এক বাহিনী গঠন করেছিলেন ওহিদুর রহমান।
ওয়াহিদুর রাহমান ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৬৭-৬৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নে মেনন গ্রুপের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বাহিনীটি পরবর্তীকালে ওহিদুর বাহিনী নামে পরিচিতি পায়।
ওহিদুর বাহিনী রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ এলাকার ৯টি থানাজুড়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওহিদুর বাহিনীর চলাচল ছিল জলপথে।
রাজশাহী নওগাঁর মানুষ তার নৌকার বহরকে বলতো ‘ওহিদুরের বায়ান্ন ডিঙ্গি’।
মুক্তিযুদ্ধের ৬ সেপ্টেম্বর আত্রাইয়ের সাহাগোলা ব্রিজ ধ্বংস করেছিলেন ওহিদুর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা। সেই অপারেশনে ১০৫ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর আত্রাইয়ের তারানগর বাউল্লায় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি নৌকার বহরে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১৫০ পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছিল ওহিদুর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা।
ঠিকানা/এএস